জেনে নিন দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাইকোলজিক্যাল হ্যাক

জেনে নিন দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাইকোলজিক্যাল হ্যাক

আপনি যদি দৈনন্দিন জীবনে একটু কৌশলী হন তাহলে চারপাশের পরিবেশ সহজে লক্ষ্য করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু সাইকোলজিক্যাল হ্যাক জানতে হবে। নিন্মে সহজ কিছু সাইকোলজিক্যাল হ্যাক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

নার্ভাসনেসের সময় চুইংগাম চিবাতে পারেন

সাইকোলজিস্ট রায়ান এন্ডারসনের মতে, নার্ভাস থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করে না। তখন আপনি চুইংগাম চিবিয়ে মস্তিষ্ককে বোকা বানাতে পারেন। এতে ব্রেইন মনে করবে আপনি নার্ভাস নয় কারণ অলরেডি কাজ করছেন (চুইংগাম চিবানো)। এভাবে নার্ভাস অবস্থায়ও মস্তিষ্ককে বার্তা দিতে পারছেন যে আপনি শান্ত আছেন।

দাঁড়িয়ে আড্ডার সময় সঙ্গীর পায়ের পাতার দিকে নজর রাখুন

যার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন তার পায়ের আঙ্গুল যদি আপনার দিকে নির্দেশ করা থাকে তাহলে বুঝবেন সে আপনার কথায় মনোযোগী। যদি তার পায়ের আঙ্গুল অন্যদিকে মুখ করা থাকে তাহলে বুঝবেন সে আলাপে আগ্রহী নয়। তার মনোযোগ অন্য কোথাও আছে।

সঙ্গীর রাগ এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে তার মুখ বরাবর বসে পড়ুন

এটা অদ্ভুত শোনালেও সাইকোলজিক্যালি প্রমাণিত এক্সপেরিমেন্ট। যখন আপনি রাগান্বিত ব্যক্তির মুখ বরাবর বসে পড়বেন ঘটনার আকস্মিকতায় সে অবাক হবে এবং আপনার নৈকট্য তার রাগকে নিমিষেই কমিয়ে দেবে।

বহু লোকের সাহায্য না চেয়ে একজনের নিকট সাহায্য চান

যখন আপনি কয়েকজনের সামনে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করবেন সেটা ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না। কারণ অনেকজন থাকায় তারা পরস্পরের উপর দায় চাপিয়ে দেবে, এতে আপনার সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। কিন্তু একজনের কাছে সাহায্য চাইলে তার সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই সাহায্য আপনি পাবেন। কারণ এখানে দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই।

সুপারশপে রাগী কাস্টমারকে নিবৃত করার উপায়

আপনি যদি সুপারশপের ক্যাশে বসেন তাহলে আপনার ঠিক পেছনে একটা আয়না ঝুলিয়ে দিন। যাতে টাকা বিনিময়ের সময় কাস্টমারের চেহারা দেখা যায়। এতে কেউ রেগে গেলে তার বিশ্রী চেহারা আয়নায় ভেসে উঠব, কেউই নিজেকে খারাপভাবে দেখতে চায় না। ফলে আপনাকে কোন রাগী কাস্টমারের মুখোমুখি হতে হবে না।

হ্যান্ডশেকের সময় হাতের তালু উষ্ণ এবং শুষ্ক রাখুন

উষ্ণ হাত আপনার পজিটিভ ব্যবহারের বা কাজের এর লক্ষণ। হ্যান্ডশেকের সময় হাত উষ্ণ থাকলে সঙ্গী আপনাকে কনফিডেন্সড ভাববে। হাত যদি শীতল থাকে তাহলে সঙ্গী মনে করবে আপনি নার্ভাস এবং দূর্বল। তাই হ্যান্ডশেকের পূর্বে দুই হাতের তালু ঘষে নিন হাতকে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।

আড্ডা দেওয়ার সময় বারবার সঙ্গীর নাম নিন

আমরা সবাই অন্যের মুখে নিজের নাম শুনতে চাই। একটা প্রাচীন প্রবাদ আছে যে, সবার পছন্দের টপিক হচ্ছে তারা নিজে। তাই কথা বলার সময় বার বার সঙ্গীর নাম নিন। ব্রো, বাড্ডি, ড্যুড, ভাই বলার চেয়ে নাম ধরে ডাকুন এতে সহজে সঙ্গীর মন জয় করতে পারবেন।

নিজের স্কিল বাড়াতে কিছু শেখা মাত্রই অন্যকে শেখানোর চেষ্টা করুন

যখন আপনি নতুন কোন কাজ শিখলেন সেটা নিজে বারবার প্র্যাকটিস করার চাইতে কাউকে শেখানো শুরু করুন। এতে কাজটি বেশি আয়ত্তে আসবে।

রাগান্বিত সঙ্গীর সামনে শান্ত থাকুন

আপনার সঙ্গী যদি রেগে যায় আপনার উপর তখন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। একদম শান্ত থাকুন। আপনার নির্লিপ্ততা তাকে শীঘ্রই অনুতপ্ত করবে এবং আপনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করবে সে, নিশ্চিত থাকুন।

প্রথম শেষ ইমপ্রেশন ভালো রাখুন

মানুষের সাইকোলজি হচ্ছে সে কারো সম্পর্কে পুরোপুরি মনে রাখে না। মানব মস্তিষ্ক সাধারণত প্রথম ও শেষ স্মৃতি মনে রাখে। এজন্য কারো স্মৃতিতে থাকার ইচ্ছে হলে প্রথম ও শেষ ইমপ্রেশন ভালো রাখুন।

এই হ্যাকসগুলো প্রয়োগ করুন, দেখবেন দৈনন্দিন জীবন কত সহজ হয়ে পড়েছে।

সাইকোলজিস্ট রায়ান এন্ডারসনের কলাম।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleসহজে ঘুমানোর কিছু কৌশল
Next articleআত্মহত্যায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here