কয়েক বছর আগে যখন আমার প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তখন আমি খুবই ভেঙ্গে পড়েছিলাম। আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। সামনের দিন গুলোতে কি করব, কোন দিকে যাব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমি শুধু জানতাম এই অবস্থা থেকে আমাকে বের হতেই হবে।
এ সব কিছুর মাঝে আমার হাতে একটি বই আসে। বইটির নাম, “লাভ ইন নাইন্টি ডেইজ: দ্যা এসেনশিয়াল গাইড টু ফাইন্ডিং ইয়োর ওয়ান ট্রু লাভ”।লিখেছেন, ডায়না ক্রিশনার। সাধারণত আমি খুব একটা বই পড়িনা। কিন্তু তবুও বইটা আমি পড়লাম। বইটা সত্যিই আমাকে নতুনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে।
বইটিতে নতুন কোন সম্পর্কে জড়ানোর থেকে ব্যক্তির নিজের উপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অন্যদের মাঝে নিজের ইচ্ছাগুলোকে না খুঁজে নিজেকে নিজের মনের মত করে তৈরি করে নিতে হবে। এটিই বইটির মূল বিষয়।
বইটি আমার খুব ভাললেগেছিল। আমি বইটির লেখকের সাথেও কথা বলেছিলাম। তিনি সত্যিই আমার পথ প্রদর্শক। তিনি আমাকে অনেক নতুন নতুন উপদেশ দিয়েছিলেন যা ভবিষ্যৎ জীবনে আমার চলার পথকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।
আমি অনেক পেপার কাটিং সংগ্রহ করতে লাগলাম। সেই ছবিগুলোর মাঝে আমি আমার সুপ্ত বাসনাগুলো প্রকাশিত হতে দেখতাম। নতুন করে আমি স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম।
কয়েক মাসের মাঝেই আমি আমার মাঝে এক অন্যরকম পরিবর্তন লক্ষ করলাম। আমি যেন এক নতুন আমিকে খুঁজে পেলাম। তারপর সেই আকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটল। আমি আমার প্রকৃত সঙ্গীকে খুঁজে পেলাম। আজ সাত বছর পরে আমরা বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করতে চলেছি।
আমি ঠিক জানিনা কিভাবে সব কিছু বদলে গেল। শুধু এটুকু বলা যায়, খুব বেশি পরিমাপ করে সম্পর্ক হয়না। কাউকে ভালবাসলে তার ভাল-মন্দ সব কিছুই দেখতে হয়। তার প্রতি নিজেকে সমর্পণ করতে হয়। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি নিয়ে খুব বেশি বাড়াবাড়ি কখনোই করা উচিত নয়।
সম্পর্কগুলো আমাদের জীবনকে জাদুর মত বদলে দেয়। নিজেকে বদলাতে হলে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হয়, ভাল কিছু করার প্রত্যয় থাকতে হয়। জীবনকে গড়ে তোলার এই সফরটা সত্যিই খুব সুন্দর এবং রহস্যময়।