যেসব চৌকস শিশুর স্মৃতি শক্তি ভালো তারা মিথ্যা কথাও ভালো বলে। দ্যা ইউনিভার্সিটি অব সেফফিল্ডের গবেষকরা ভার্বাল মেমোরির সঙ্গে মিথ্যা বলার সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষণায় ছয় ও সাত বছর বয়সী শিশুদের একটি ঘরে খেলতে নেওয়া হয়। খেলার অংশ হিসেবে তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে কার্ড দেওয়া হয়, যার পেছনে উত্তর লেখা রয়েছে।
কার্ডগুলো হাতে দেওয়ার পরে উত্তর না দেখতেও নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের। পাশাপাশি গোপন ক্যামেরায় ওপর নজরে রাখা হয়, আসলেই তারা উত্তর দেখছে কি না।
প্রথম প্রশ্ন করা হয় কার্টুন সংশ্লিষ্ট ও দ্বিতীয়টি রং সংশ্লিষ্ট। দ্বিতীয় প্রশ্নের পরেই গবেষকরা নির্ধারণ করেন কারা মিথ্যা বলায় ভালো এবং কারা খারাপ।
দ্যা ইউনিভার্সিটি অব সেফফিল্ড এবং দ্যা ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ফ্লোরিডার গবেষকরা দু’টি বিষয় চিহ্নিত করে: ভার্বাল ও ভিসু-স্পাশিয়াল মেমোরি। ভার্বাল মেমোরির কাজ হলো একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি কত শব্দ মনে রাখতে পারছেন তা নিয়ন্ত্রণ করা। আর ভিসু-স্পাশিয়াল মেমোরির কাজ হলো একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি কতগুলো চিত্র মনে রাখতে পারছেন তা নিয়ন্ত্রণ করা।
চৌকস শিশু, যাদের উভয় ধরনের স্মৃতিই শক্তিশালী তারাই ভালো মিথ্যা বলতে পারে। তবে যারা ভালো মিথ্যা বলতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে ভিসু-স্পাশিয়াল মেমোরি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না বলে মনে করেন গবেষকরা। কারণ কোনো মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে চিত্রের চেয়ে তথ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
দ্যা ইউনিভার্সিটি অব সেফফিল্ডের মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ডা. এলেনা হইকার মতে, শিশুরা ভালো মিথ্যা বললে অভিভাবকদের গর্ববোধ করা উচিত। কারণ তাদের সন্তান নিঃসন্দেহে চৌকস। আর ছোটবেলা থেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা হলে শিশুরা অবশ্যই সত্য পথই বেছে নেবে।