স্মৃতি ধরে রাখার একটি ভালো মাধ্যম হলো ডায়েরি লেখা। পাশাপাশি অনেকে ডায়েরির পাতায় সংশ্লিষ্ট ছবিও যুক্ত করেন।তবে ডায়েরি লেখা কেবল স্মৃতি ধরে রাখতেই নয়, চাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সম্প্রতি একটি গবেষণা শেষে এমন কথাই বলছেন মনো বিশেষজ্ঞরা।
একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রধান গবেষক ডা. স্টিফেন ক্লেইন উল্লেখ করেন, ভালো থাকতে পারা বা আনন্দিত হওয়া এক ধরনের দক্ষতা। বিদেশি ভাষা শেখার মতো এই দক্ষতাও অর্জন করতে হয়। আনন্দিত বা ভালো থাকার একটি সহজ উপায় হলো আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট বিশেষ মুহূর্তগুলো ডায়েরিতে টুকে রাখা।
ডা. স্টিফেন ক্লেইন তার ‘দ্য সায়েন্স অব হ্যাপিনেস’ বইটি লেখার সময় এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। তিনি তার বইটিতে তার তিন সন্তানের কথা উল্লেখ করেন, খুব কম সময়ই তিন সন্তানকে রাগ করতে দেখেছেন।
যদিও তার এই মত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
জার্মান বংশোদ্ভূত মনোগবেষক সেলটেনহাম বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যারা বিষণ্নতা রোগে ভুগছেন, বেঁচে থাকতে কোনো উৎস থেকেই তারা আনন্দ পান না। তবে ইতালির মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জিওভানি ফাভা বলেন, বিষণ্নতা রোগে ভুগছেন এমন রোগী যারা ডায়েরি লেখেন তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়েরিতে থাকা অতীতের স্মৃতি তাদের আনন্দিত করে।
ক্লেইন বলেন, বিষয়টি খুবই সাধারণ। যেকোনো সময় আপনি আপনার পছন্দের জায়গা, নদীর পাড় বা সবুজ ঘাসে বসে ডায়েরি লিখে দেখুন, ভালো লাগবে।
ভালো থাকার জন্য যে মুহূর্তগুলো আপনাকে আনন্দ দেয় সেগুলোর সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। একই সঙ্গে যে ঘটনাগুলো আপনাকে বিষণ্ন করে, সেগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা উচিৎ, যোগ করেন তিনি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, আনন্দ বিষয়টা হলো, মস্তিষ্ক যখন এনডরফিন কেমিক্যাল নিঃসরণ করে তখন আমরা আনন্দবোধ করি। দুঃখ সম্পর্কে ক্লেইন বলেন, এ বিষয়ে সিগমুন্ড ফ্রয়েডের উক্তিটি বেশি জনপ্রিয়তা পায়, ‘মানুষের মন প্রেসার কুকারের মতো, এর সিটি বের হওয়ার জন্য একটি জায়গা দরকার হয়’।