শিশুদের মাঝে চঞ্চলতা থাকাটাই স্বাভাবিক। শৈশব কিংবা কৈশোরে আমরা শিশুদের মাঝে নানা ধরণের চঞ্চলতা দেখতে পাই। যদিও অনেকে মনে করেন এই চঞ্চলতা তাদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আসলেই কি তা? প্রশ্ন থেকে যায়। পেশাগত কারণে অনেক শিশুর সঙ্গে কাজ করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক রোহান রহমান রাহিন।
শিশুদের অতিচঞ্চলতার বিষয়ে তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত আমার মনে হয় চঞ্চলতা কোন সমস্যা নাহ্। বাচ্চাদের মাঝে চঞ্চলতা থাকবেই। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে চঞ্চলতাকে অনেকে সমস্যা মনে করে যেটা আসলে ঠিক নাহ্।
আমার পেশাগত দিক থেকে অতি চঞ্চল বাচ্চা প্রচুর পেয়েছি। চঞ্চল বাচ্চাদের থেকে কাজ আদায় করাটা খুব সহজ হয় আমাদের জন্য।
আমার কাছে মনে হয় কৌতুহল অথবা খুব জানার ইচ্ছা। তারা যাই করে সেটা কৌতুহল থেকে করে।
যদিও আমি নিজেও চঞ্চল ছিলাম তাই আমার অনুভূতিটা অবশ্যই তাদের পক্ষেই। বাচ্চাদের চঞ্চলতা কখনোই রোগ বা অবাধ্যতা মনে করিনা। কিশোর বয়সে মানে কৈশোরে অনেকে চঞ্চলতা অবাধ্য পর্যায়ে চলে যায় কিন্তু বাচ্চাদের জন্য অবশ্যই এটা অবাধ্যতা না।
আসলে আমরা তথাগত ভাবনায় আবদ্ধ থাকি তাই বেশিরভাগ সময় এইসব চঞ্চলতাকে আমরা বেয়াদবি ভেবে ফেলি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর বাইরে নয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবশ্যই আরো সহনশীল আচরণ দরকার আমার মতে। বাংলাদেশে অধিকাংশ অভিভাবকের বাচ্চাদের সঠিক যত্ম ও পালন সম্পর্কে জ্ঞান এখনও বেশ সীমিত।
তাই আমার কাছে মনে হয় অবশ্যই অভিভাবকদের এ বিষয়ে জানা উচিত। বাচ্চাদের প্রারম্ভিক বিকাশে যত্নশীল হলেই এটা ওদের জন্য অনেক বড় সহায়তা হবে। আমরা মানসিক অবস্থা বুঝতে পারি নাহ্ বাচ্চাদের। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সঠিক কিছু শিখাতে আমরাই ব্যর্থ হই।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে