দীর্ঘক্ষণ কাজের মধ্যে থাকলে অথবা কাজের চাপ বেশি হলেই স্ট্রেসের শিকার হন মানুষ। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রেসের মধ্যে থাকলেই যে কোনো ব্যক্তি ডিপ্রেশনের শিকার হবেন তা নয়। সম্প্রতি এক মার্কিন গবেষনায় ওঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে, কিছু সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে স্ট্রেসের পরবর্তী ধাপই ডিপ্রেশন হিসেবে হাজির হয়। তবে কখনো কখনো এই স্ট্রেসই হতাশা প্রতিরোধের ক্ষমতা হয়ে ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অব নিউরোসায়েন্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কোনো ব্যক্তি এই দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসকে হতাশা প্রতিরোধের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে অ্যামিগ্ল্যাডা অ্যাক্টিভেশনের মাধ্যমেই এই প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানা গেছে।
কি এই অ্যামিগ্ল্যাডা? গ্রীক শব্দ অ্যামিগ্ল্যাডা হল মস্তিষ্কের গভীরে থাকা আমন্ড আকৃতির একটি নিউক্লিয়াস। যেটি মূলত স্মৃতিশক্তি, সিদ্ধান্তগ্রহণ এবং ভয়, উদ্বেগের মতো আবেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিজ্ঞানীরা এটি ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে স্ট্রেসকে সুখানুভূতিতে রূপান্তরিত করেছেন। প্রথমে পুরো একদিনের জন্য ইঁদুরগুলোকে উদ্বেগের মধ্যে রাখা হয়। তারপর ১৫ মিনিট পরে তাদের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় উদ্দীপনা চালু করা হয়। চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইঁদুরগুলো আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নন-সেরোটোনিন সিগ্ন্যালিং নিউরনগুলো কাজ করতে শুরু করায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে। গবেষকরা ইঁদুরের মস্তিষ্কে নন-সেরোটোনিন সিগ্ন্যালিং বন্ধ করে অ্যামিগ্ল্যাডার নিউরনগুলোকে উদ্দীপিত করে দেওয়ায় স্ট্রেস থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হতে শুরু করে ইঁদুরগুলো।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ট্রেসের ফলেই যে ডিপ্রেশন হবে তা নয়, বরং ডিপ্রেশন থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে