এক রবিবার, যেই রবিবারের প্রতীক্ষায় ছিলেন অসংখ্য ক্রীড়া প্রেমীরা। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২’র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ-শ্রীলংকা এবং চিরপ্রতিদ্বন্ধী ভারত–পাকিস্তান।
মাঠের উন্মাদনা ছাপিয়ে ঘরে-বাইরে সবজায়গায় আলোচনার প্রাণ ছিলো এই ম্যাচগুলোকে নিয়ে। চায়ের কাপের ঝড় থেমে গিয়েছে, হতাশায় হয়ত মুখ চেপে বসেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। হয়েও যেন হইল না শেষ।
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভালোই শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিং করে সুযোগকে ভালোই কাজে লাগিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। নাইমের ৬২ আর মুশফিকের ৫৭ রানের উপর ভর করে ১৭১ রানের লড়াকু সংগ্রহ তুলে নেয় বাংলাদেশ।
১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫২ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন আসালাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসার। এই জুটি ভাঙ্গার সুযোগ আসলেও দুইবার ক্যাচ মিস করে বসেন লিটন দাস। ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দেওয়া দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব-আল-হাসান এইদিনে ভেঙ্গে ফেলেন শাহিদ আফ্রিদির করা সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই উইকেট নিয়ে তিনি এখন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর অধিকারী। এতো কিছুর পরেও দারুণ ছন্দে থেকেই ১৮ ওভার ৫ বলেই ১৭২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা।
১৪ বছর পরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জেতার সুযোগ এভাবে হাতছাড়া করে একটু আশাহত বাংলার টাইগাররা। ক্রিকেট প্রেমীরা লিটনকেই দোষছেন, তালুবন্দি করতে না পারা দুটি ক্যাচ-ই হয়ত পারত বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে। ৫ উইকেটের হার দিয়েই সুপার ১২ যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ
উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। ভৌগোলিক কারণে শুধু নয়, মাঠের উত্তাপেও যেন ছাড়িয়ে যায় সব বাক-বিতন্ডা। কে সেরা!
ওয়ানডে হোক বা টি-টুয়েন্টি এর আগে ১২ বার দেখা হয়েছিলো দুই দেশের। ১৩ বারের চেষ্টায় অবশেষে সফল টিম পাকিস্তান। ম্যাচ শুরুর আগেই পাকিস্তান টিমকে শক্তিশালী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। মাঠেও দেখা গেল তার প্রতিফলন।
দুবাইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হোঁচট খায় ভারত। পাকিস্তানী বোলার শাহীন আফ্রিদির বোলিং তান্ডবে বিধ্বস্ত ভারতকে এক প্রকার একাই টেনে তুলেন বিরাট কোহলি। ক্রিজের এক প্রান্ত আঁকড়ে ধরে ৪৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ভারত অধিনায়ক। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন প্যান্ট। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান পুঁজি করে ভারত।
১৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ এক ইনিংস খেলেন পাক ওপেনার জুটি। বাবর ও রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটিতেই ম্যাচ জিতে পাকিস্তান। ৫৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন কিপার ব্যাটার রিজওয়ান। অপরপ্রান্তে ৫২ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন পাকিস্তানী অধিনায়ক বাবর আজম। ১৩ বল বাকি রেখে অপরাজিত থেকেই চমকপ্রদ জয় উপহার দেন এই জুটি। ১০ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের মঞ্চে অবশেষে এলো ভারতের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয়। শুধু ব্যাটিং নৈপুণ্যতেই নয়, মাঠের মাঝে নামাজ আদায় করে সাইবার দুনিয়ায় ভাইরাল ক্রিকেটার রিজওয়ান।
লিখেছেনঃ শরীফুল সাগর
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে