করোনা মহামারীর কারনে সারাবিশ্ব এক কঠিন সময় পার করছে। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। সেইসাথে দির্ঘায়িত হচ্ছে ঘরে বন্দিজীবনকাল। কবে এই দুঃসময় শেষ হবে সেটা আমরা কেউ জানিনা। এর ফলে ব্যাক্তিগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে এসেছে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আমরা আমাদের স্বাভাবিক জীবন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। ব্যাবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় এবং স্বল্প আয়ের মানুষ কাজ করতে না পারায় এভাবে তারা কতদিন চলতে পারবেন, সেটা ভেবে আতংকিত হয়ে পড়ছেন।
আবার যদি করোনা আক্রান্ত হয়েই যায় তাহলে বেঁচে থাকব না মারা যাব, মারা গেলে পরিবারের কি হবে, ছোট বাচ্চাদের কে দেখবে, এসব অনিশ্চয়তার ভাবনা সবার মধ্যে বাড়িয়ে দিচ্ছে মানসিক চাপ।
ফলে অনেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করছে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ এর কারণে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে কোথাও কোথাও। ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটির সমীক্ষায় দেখা গেছে করোনার কারণে ভারতে মানসিক সমস্যায় ভোগার হার ২০% বেড়ে গেছে।
তবে অনেকেই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এই সমস্যা এবং মানসিক চাপ মোকাবিলা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় মানুষের সাহায্য করছেন, কেউবা যানবাহন দিয়ে, বাসস্থান দিয়ে এবং বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যারা ফ্রন্ট লাইনে কাজ করছেন তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার এরমধ্যে কিছু নেতিবাচক খবরও চোখে পড়ছে, যেমন কোন জায়গায় করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে তাদের হেয় করা, বাড়ি হতে বের করে দেওয়া, ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা, এমনকি এলাকা ছাড়া করার মতো অমানবিক কাজে তৎপর হওয়া ইত্যাদি।
মানসিক চাপ থেকে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১। ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অনেকে অতিমাত্রায় উদ্বেগ বা এনজাইটিতে ভুগতে পারে, ফলে সবসময় অস্থির লাগা, মাথা ধরা, অতিরিক্ত টেনশন, বিরক্তিভাব, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা, বুক ধড়ফড় করা, অল্পতেই রেগে যাওয়া, অনিদ্রা অথবা কখনো প্যানিক এটাকের মত উপসর্গ, যেমন- হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট, গলা বুক চেপে আসা, পেট ভারী হয়ে আসা, এক্ষণই বুঝি মারা যাচ্ছি এমন অনুভূত হতে পারে।
২। ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভোগার কারণে বেশিরভাগ সময় মন খারাপ থাকা, কোন ভালো খবরেও আনন্দ উপভোগ করতে না পারা, ঘুম কমে যাওয়া, খাবারে অনীহা, যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া, নিজেকে অর্থহীন বা মূল্যহীন মনে হওয়া এবং অতিরিক্ত হতাশা হতে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা মাথায় আসতে পারে।
৩। ইম্পালসিভ আচরনের কারণে হঠাৎ করে কারও সাথে খারাপ ব্যবহার করা, ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া, নিজের শরীরের ক্ষতি করে বসা, এমনকি মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়তে পারে কেউ কেউ।
৪। অতিরিক্ত চিন্তাবাতিক বা শুচিবাই রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে কারও কারও মাঝে যেমন, কোন কাজ সম্পন্ন করার পরও অহেতুক মাথায় চিন্তা আসতে পারে যে কাজটা ঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি, হাতপা ভালমতো পরিষ্কার করার পরও বার বার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মনে অযৌক্তিকভাবে জীবাণু সংক্রমণের চিন্তা আসা, কাপড়-চোপড়, ঘরবাড়ি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে পরিষ্কার করতে থাকা ইত্যাদি।
৫। মৃত্যুকে কেউ সহজে আলিঙ্গন করতে চায় না। করোনার সংক্রমের ব্যাপারে যথাযথ ধারনা না থাকায় এবং সামাজিক কুসংস্কারের কারণে আশেপাশে কেউ আক্রান্ত হলেই অনেকে ভাবতে শুরু করছে এই বুঝি আক্রান্ত ব্যাক্তি হতে করোনা আমার মাঝে চলে এল অথবা আক্রান্ত ব্যাক্তি অপয়া। এই ধারনা থেকে আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অমানবিক আচরণ করতে পারে। এতে আক্রান্ত ব্যাক্তির মানসিক চাপ আরও বাড়তে পারে এবং তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।
৬। যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন বা আইসোলেশনে আছেন তাদের পরবর্তীতে অ্যাকিউট স্ট্রেস ডিসঅর্ডার বা তীব্র মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে। এর ফলে তাদের ঘুমের সমস্যা হতে পারে, অতীতের স্মৃতি বার বার মনে পড়ায় দুঃশ্চিন্তা হতে পারে। এই মানসিক চাপ এর ফলশ্রুতিতে দীর্ঘমেয়াদী বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে।
৭। চিকিৎসকদের মধ্যে যারা সরাসরি চিকিৎসা প্রদানের সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ করে যারা ICU তে কাজ করছেন, তারা রোগীদের কষ্ট, অসংখ্য মৃত্যুকে সামনে থেকে পর্যবেক্ষণ করার কারণে অনিদ্রা, উদ্বেগ, শারীরিক ও মানসিক অবসাদে ভুগতে পারে, এমনকি পোষ্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হতে পারে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে যা করনীয়ঃ
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাঃ
- ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সকল পর্যায়ে করোনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
- ৮০% করোনা আক্রান্ত মানুষের উপসর্গ নাও থাকতে পারে। এসব উপসর্গ বিহীন মানুষও সংক্রমন ঘটাতে সক্ষম। তাই হতে পারে আপনার পাশের মানুষটি উপসর্গবিহীন করোনা ভাইরাসের বাহক। সুতরাং সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
২। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোঃ
- আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে সর্বদা ইতিবাচক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে আঁধার কেটে যেমন আলোর আবির্ভাব হয়, তদ্রূপ এই সমস্যাও শেষ হবে খুব তাড়াতাড়ি, সুদিন অতি সন্নিকটে, মনের মাঝে এই বিশ্বাস সদা জাগ্রত রাখতে হবে।
- মনে রাখবেন এই সমস্যা শুধু আপনার নয়, এটা এখন সারবিশ্বের সব মানুষের সমস্যা।করোনা আক্রান্ত হওয়া মানেই মৃত্যু নয়, ৮০-৯০% করোনা পজিটিভ রোগী হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।তাই আতংকিত না হয়ে সচেতন হতে হবে।
- অতীতের কোন দুঃসময় মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতার কথা কল্পনা করে মনোবল চাঙ্গা করতে পারেন।
৩। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করাঃ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কমিয়ে আনতে হবে। শুধু অথেনটিক সোর্স হতে করোনা আপডেট জানতে পারেন।
- বিভিন্নরকম বানোয়াট ও গুজব খবর, আক্রান্ত ব্যাক্তির কষ্ট পাওয়ার ভিডিও দেখা, মৃত্যুর খবর ও লাশের সংখ্যা হিসাব করা এড়িয়ে চলুন। এগুলো আপনার মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- যেখানে নিয়ম মানা ছাড়া আর কোন সমাধান নেই, সেখানে নিজের ও অন্যদের সম্ভাব্য পরিনতি কি হতে পারে তা চিন্তায় রাখতে হবে এবং যা কিছুই হোক, মানসিকভাবে মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে।
৪। নিজের যত্ন নেওয়াঃ
- পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়া জরুরী, এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
- নিয়মিত শরীরচর্চা, যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন ও প্রার্থনার মাধ্যমে শারিরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি করুন। এর ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
- ধূমপান, এলকোহল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা পরিহার করুন। এই সময়টাকে এগুলো বাদ দেওয়ার একটি মোক্ষম সুযোগ হিসাবে নিন।
৫। কাছের মানুষদের সাথে সময় কাটানঃ
- মনে করবেন আগে ব্যস্ততার কারনে পরিবারের মানুষ ও বাচ্চাদের বেশী সময় দিতে পারেননি, সুতরাং এই এখন সবার সাথে বেশী করে সময় কাটানোর একটা সুযোগ পেয়েছেন, এমনটি ভাবতে পারেন।
- তাদের সাথে গল্প করে, পুরনো দিনের স্মৃতি স্মরণ করে, দুঃসময় মোকাবিলায় কার কি প্রস্তুতি এসব আলোচনা করে সময় কাটাতে পারেন।
- রান্নাবান্না, ঘর পরিষ্কার রাখাসহ পরিবারের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে সময় কাটাতে পারেন।
- এছাড়া দুরের আত্মীয়-স্বজনের সাথে ফোনে বা ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারেন, তাদের কুশলাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিতে পারেন।।
৬। দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করাঃ
- এ সময়ে মনের ইচ্ছাগুলো, ভালোলাগা মন্দলাগা, সারাদিনের অভিজ্ঞতা একটা ডায়েরিতে লিখে রাখা যেতে পারে, লেখালেখির এই অভ্যাসের মাধ্যমে সময় ভালো কাটবে এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রিত হবে। আগামীদিন কি কি করবে তার একটি তালিকা করা যেতে পারে।
৭। বিনোদনমূলক কাজ করাঃ
- পছন্দের গান শোনা, সিনেমা-নাটক দেখা, বাসায় অন্য সদস্যদের সাথে লুডু, কেরাম, দাবা ইত্যাদি ঘরোয়া খেলায় অংশগ্রহণ গ্রহণ করতে পারেন।
- বিভিন্ন পছন্দের রেসিপির খাবার তৈরি করে, গল্পের বই ও উপন্যাস পড়ে, গল্প কবিতা লেখে, ছবি এঁকে সময় কাটানো যেতে পারে।
- গিটার, হারমোনিয়াম ইত্যাদি শেখার প্রাকটিস করে বা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সময় কাটান।
৮। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তোলাঃ
- যেসব খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় সেগুলো বেশী খেতে হবে। ভিটামিন সি, ডি, সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল বেশী করে খেতে হবে। প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিদিন কিছুসময় রোদে থাকুন, এতে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরী হবে।
৯। শিশুদের সময় দেওয়াঃ
- শিশুরাও হঠাৎ করে আবদ্ধ জীবনে অভাস্ত না থাকার কারণে মানসিক চাপে ভুগতে পারে। ওদের সাথে লুকোচুরি, লুডু, দাবা ইত্যাদি ঘরোয়া খেলাধুলা করুন। ছোটখাট ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারেন।
- আগের মতো নিয়মিত কাজ যেমন পড়ালেখা, একসাথে খাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, প্রার্থনা করা, এগুলো চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করুন।
- ওদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হতে, গল্পের ছলে করোনা বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি, সম্ভাব্য পরিনতি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেওয়া যেতে পারে।
- বই পড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, গল্প বলার অনুষ্ঠান, ধাঁধা বলা ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করুন, এতে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাশীলতার চর্চা হবে, আবার সময়ও কেটে যাবে এবং দূর হবে মানসিক চাপ।
- শিশুদের সাথে একত্রে বসে গঠনমূলক সিনেমা, নাটক দেখুন, শারীরিক ব্যায়াম করুন, এতে ওরা আনন্দ পাবে আবার শিখতেও পারবে।
১০। সামাজিক কাজে অংশগ্রহন করাঃ
- যারা দিন আনেন দিন খান তাদের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন খুবই কষ্টের। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত, সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। এতে তাদের ঘরে থাকতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
- জনগণকে করোনা সম্পর্কে ধারনা দেওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেতন করা যেতে পারে।
১১। যাদের অতিরিক্ত খুতখুতে স্বভাব তারা এক্ষেত্রে কিছুটা মধ্যস্ততা করতে পারেন। কারণ অন্যের সব কাজ আপনার মন মত নাও হতে পারে। যতটুকু পারা যায় ততটুকুই মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনি ভাল থাকবেন ও অন্যদের কাজের উৎসাহ বাড়বে।
১২। এসবের পরও বেশি মানসিক চাপ নিতে না পারলে কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করুন, প্রয়োজনে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
পরিশেষে বলতে চাই, যারা কভিড-১৯ পজিটিভ হচ্ছে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করবেন না। তাদেরকে মনোবল ধরে রাখতে সাহায্য করুন। তারা আপনারই ভাই, বন্ধু বা প্রতিবেশী। আপনার নেতিবাচক আচরণের জন্য সে আরও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে। যুগে যুগে অনেক উদাহরণ আছে যেখানে মানুষ নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও অন্যের মঙ্গলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। রানা প্লাজা ধ্বসের সময়ও আমরা দেখেছি অনেকে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে উদ্ধার অভিযানে নিঃস্বার্থভাবে অংশ নিয়েছেন।
মনোবিজ্ঞানে এধরণের কাজকে পরার্থপরতা (Altruism)বলে। মানুষ মানুষের জন্য, এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন, করোনা পজিটিভ রোগী নিরাপদ দূরত্বে আলদা রুমে আইসোলেশনে থাকলে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সর্বোপরি, মনোবল সমুন্নত রাখতে হবে। আশা হারালে চলবেনা। মনে রাখুন, ধৈর্যের অনেক পরীক্ষা দিয়েছেন আপনি এই জীবনে, অনেক কঠিন সময় পার করেছেন৷ এটি আরেকটি পরীক্ষা মাত্র৷ আপনি এবারও পারবেন। আপনি পারলে আপনার পাশের মানুষটিও পারবে। আর তাতেই বাঁচবে পুরো বাংলাদেশ।
লেখক: ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন, সহকারী অধ্যাপক, মানসিক রোগ বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর।
মানিসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকন সর্তক থাকুন