এই মহামারীর সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে অ্যালকোহল-ভিত্তিক কয়েকটি ভাইরাসনাশক দ্রবণের। গবেষকদের দেওয়া তথ্যানুসারে সংস্থাটি বলছে, সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এই অ্যালকোহল-ভিত্তিক ‘হ্যান্ড ডিজইনফেকট্যান্টস’ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।
‘ইমার্জিং ইনফেকসাস ডিজিজ’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত হয় এই গবেষণার বিস্তারিত।,জার্মানির ‘রুহর ইউনিভার্সিট্যাট বোখুম’য়ের অধ্যাপক স্ট্যাফেনি ফেন্ডার এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন।
গবেষণার জন্য তারা ‘সার্স-কোভ-২’ বা করোনাভাইরাসকে ৩০ সেকেন্ড ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত জীবাণুনাশকের সংস্পর্শে রাখেন।
ফেন্ডার বলেন, “হাত জীবাণু মুক্ত করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শকৃত সময়সীমা অনুযায়ী আমরা ৩০ সেকেন্ড সময় নির্ধারন করি।”
পরে ‘সেল কালচার অ্যাসেইস’য়ে ভাইরাসগুলোকে পরীক্ষা করেন গবেষকরা, উদ্দেশ্য ছিল কতগুলো ভাইরাস সংক্রমণক্ষম আছে তা দেখা।
ফেন্ডার বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শকৃত দুটি দ্রবণই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে সেটা আমরা দেখিয়েছি। শুধু ওই দ্রবণই নয়, তার দুটি প্রধান উপাদান, ‘অ্যালকোহল ইথানল’ এবং ‘আইসোপ্রোপেনল’- ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করতে যথেষ্ট কার্যকর।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শকৃত প্রথম জীবাণুনাশক দ্রবণে আছে ‘৮০ শতাংশ ‘ইথানল’, ১.৪৫ শতাংশ ‘গ্লিসারিন’ আর ০.১২৫ শতাংশ ‘হাইড্রোজেন পারোক্সাইড’। আর দ্বিতীয় জীবাণুনাশকের ৭৫ শতাংশ ‘আইসোপ্রোপেনল’, ১.৪৫ শতাংশ গ্লিসারিন আর ০.১২৫ শতাংশ ‘হাইড্রোজেন পারোক্সাইড’।
এছাড়াও ‘সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট’, ‘ক্লোরিন’, ব্লিচিং পাউডারের দ্রবণ ইত্যাদিকেও বিভিন্ন বস্তু ও স্থানে পড়ে থাকা করোনাভাইরাস ধ্বংসে কার্যকর হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নতুন করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার সবচাইতে কার্যকর উপায় হল সাবান-পানি কিংবা অ্যালকোহল-ভিত্তিক কোনো দ্রবণ দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করা।
সব বয়সের মানুষকেই এই ভাইরাস আক্রমন করে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত প্রবীণদের ঝুঁকি সবচাইতে বেশি।
এইসব জীবাণুনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি নিরাপদে থাকতে ঘরে থাকা, ঘরে রান্না করা খাবার খাওয়া ও সামাজিত দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।