শারিরীক অসুস্থতার চেয়ে মানসিক অসুস্থতা ব্যক্তিকে বেশি দুর্বল করে দেয়। তাদের অবস্থা আরো শোচনীয় হয় যখন সমাজে বসবাস করতে গিয়ে মানসিক রোগ নিয়ে বদ্ধমূল ধারণা ও কুসংস্কারের কারণে তারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীর কাছ থেকে বৈষম্যের শিকার হন।
সমাজের অধিকাংশ ব্যক্তি মানসিক রোগ কিংবা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব কমই জানেন, বাস্তবে তাদের ধারণা অনেকাংশে ঠিক নয়। মানসিক রোগীরা হিংস্র ও ভয়ানক হয়-এমনটা ধারণা অনেকের মধ্যে রয়েছে। এ ভয়ে মানসিক রোগীদের অনেকে এড়িয়ে চলেন। এভাবে সমাজে অবহেলিত হন মানসিক রোগীরা। এমনকি তারা দুর্ব্যবহারের শিকারও হন। এতে করে মানসিক রোগীদের দ্রুত সেরে উঠার পথ কঠিন হয়ে যায়।
পারিবারিক বা সামাজিক এমন পরিবেশে নিজেকে আত্মপ্রত্যয়হীন ভাবা শুরু করেন মানসিক রোগীরা। বন্ধুত্ব স্থাপন বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মতো কিংবা চাকুরি পাওয়ার বিষয়কে তারা খুব কঠিন বলে মনে করেন।
সুচিকিৎসার মাধ্যমে মানসিক রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসতে পারে। মানসিক রোগীদের সুস্থ করে তুলতে হলে সুচিকিৎসার পাশাপাশি তার আশপাশের মানুষজনকে সামাজিক কুসংস্কারগুলো ঝেড়ে ফেলতে হবে, বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করতে হবে।