গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার চেয়ে বাবার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া একজন বাচ্চার মানসিক অবস্থার উপর বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও বাবা-মা উভয়ের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া বাচ্চার জন্য বেদনাদায়ক কিন্তু বাবার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া এক্ষেত্রে আরো শক্তিশালী নেতিবাচক ভূমিকা পালন করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। বাচ্চারা তাদের বাবার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া সহজে মেনে নিতে পারে না।
এই গবেষণার একজন সহকারী গবেষকের মতে, শৈশবে পিতা মাতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ফলে শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে যে পরিবর্তন দেখা গেছে তা আর কিছুতে দেখা যায় নি।
বাবা-মা দুজন অথবা যেকোনো একজনের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া শিশুর ব্যক্তিত্বের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। তাদের মধ্যে অতিরিক্ত উদ্বেগ এবং নিরাপত্তাহীনতা দেখা যায়। এছাড়াও তাদের মধ্যে আরো হিংস্র এবং আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায়।
এই প্রত্যাখ্যাত হওয়ার যন্ত্রণা প্রাপ্তবয়সে মানুষকে শক্তিশালী হতে বাঁধা দেয় এবং অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাথে বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরিতে বাঁধার সৃষ্টি করে।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক কষ্টের জন্য মস্তিষ্কের যে অংশ সচল হয় মানসিক কষ্টের জন্যও মস্তিষ্কের একই অংশ সচল হয়।
এই গবেষণায় এটাই দেখা গেছে যে শিশুর আচরণগত সমস্যার জন্য মাকে দায়ী করাটা খুব একটা সঠিক নয়।
তথ্যসূত্র: স্প্রিং ডটকমে প্রকাশিত Dr Jeremy Dean এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুপ্তি হালদার।
লিংক: https://www.spring.org.uk/2016/10/rejection-parent-personality.php