সবসময় এবং সব জায়গায় নাগালের মধ্যে থাকা, একই সঙ্গে অনেক কাজ করা, শিফটে কাজ করা – এ সব কিছুই মানসিক চাপ বাড়ায়৷ কিন্তু এ সব কি আদৌ পরিমাপ করা যায়?
কর্মক্ষেত্রে মানসিক সমস্যা, ক্লান্তি, উত্সাহ হারানো – এ সব নিয়ে দীর্ঘ দিন তেমন মাথা ঘামানো হয়নি৷ ইতোমধ্যে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ একটা পরিচিত শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ‘‘প্রযুক্তির উন্নয়ন এত দ্রুত হচ্ছে যে, আমরা এখন বলতেই পারবো না, পেশা ক্ষেত্রে দশ বছর আগে অবস্থাটা কেমন ছিল৷” বলেন মনস্তত্ত্ববিদ হিলট্রাউট পারিডোন৷
হাঁপ ছাড়ার সুযোগ থাকে না
মোবাইল টেলিফোনের সাহায্যে কর্মীরা সর্বক্ষণ কর্মদাতাদের আয়ত্তের মধ্যে থাকেন৷ অফিস ছুটির পর কিংবা সপ্তাহান্তে, যখন তখন৷ কিছুটা হাঁপ ছেড়ে নতুন করে শক্তি অর্জন করার সুযোগই থাকে না৷
এছাড়া একসাথে অনেক কাজ করতে হয় কর্মীদের৷ মাঝে মাঝে কাজে বাধা পড়ে৷ যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মনোজগতে৷ শারীরিক ও মানসিক অসুখ বিসুখ দেখা দেয়৷ ‘‘যেমন হার্ট ও পেশির অসুখ, অবসন্নতা ইত্যাদি৷ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷ উত্সাহ স্তিমিত হয়৷ ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়৷” বলেন মনস্তত্ত্ববিদ পারিডোন৷ এরফলে অনেকেই পেশাগত জীবন থেকে বিদায় নেন৷ ২০১২ সালে প্রায় ৭৫ হাজার কর্মী মানসিক অসুস্থতার কারণে কাজে অপারগ হয়ে পড়েন৷
পরিমাপ করা কঠিন
কর্মজগতে মানসিক চাপ পরিমাপ করাটা বেশ কঠিন৷ এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই৷ অবশ্য গত বছর পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি দূর করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷ ‘‘জৈবিক, রাসায়নিক কিংবা যান্ত্রিক ঝুঁকির সঙ্গে এখন যুক্ত হলো মানসিক চাপও, যদিও তা ঠিকমতো মাপা যায় না৷” জানান পারিডোন৷
এক্ষেত্রে কর্মীদের সম্পৃক্ত করতে হবে৷ কাজের চাপ সম্পর্কে তাঁদের বাস্তবানুগ ও প্রকৃত তথ্য দিতে হবে৷ চাপের মাত্রাটা বুঝতে হবে৷
সুত্রঃ ইন্টারনেট