অফিস খুলতে আরম্ভ করেছে ধীরে ধীরে, পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে প্রাণপনে। যদিও কোনো কোনো অফিসে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পালা এখনও বেশ কিছুদিন চলবে, কিন্তু পাশাপাশি অনেকেই বাড়ির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে বসে কাজ করতে পারবেন না, তাঁদের বেরোতেই হবে। ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে বাস, ব্যাক্তিগত গাড়ি, রিক্সা বা সিএনজিতে না হয় চড়লেন, কিন্তু টয়লেট ব্যবহারের সময় কী করবেন? অনেকেই আছেন যাঁরা দূর-দূরান্তর থেকে অনেকটা পথ উজিয়ে অফিসে আসেন। সিটে বসে একটু জিরিয়ে নেন প্রথমে, তার পর টয়লেটে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সামান্য প্রসাধন সেরে কাজ শুরু করেন। আর পাঁচজন মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে বাথরুম শেয়ার করতেই হয় — সেখানে সোশাল ডিসট্যান্সিং মানবেন কীভাবে? নিজের নিরাপত্তায় বা সুনিশ্চিত করবেন কী করে?
প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশগুলি একসঙ্গে অনেকে ব্যবহার করেন এরকম টয়লেটের নকশাতেই কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে। যেমন ধরুন, সব কলে লাগানো থাকবে সেন্সর। খোলা-বন্ধ করার জন্য তাতে হাত দিতে হবে না। লিকুইড সাবানের ডিসপেন্সারও ছোঁয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বাথরুমে ঢোকা আর বেরনোর দরজাও হবে স্বয়ংক্রিয়। কিন্তু এ দেশে সে সব সিস্টেম আসতে এখনও ঢের দেরি। বড়ো কর্পোরেট হয়তো ব্যবস্থা করতে পারবে, কিন্তু ছোটোখাটো সব সংস্থার পক্ষে তো আর তেমনটা করা সম্ভব নয়। তাঁরা কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন?
প্রথমেই বুঝে নিন, বাথরুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করা বা সাজগোজ করাটা আর মোটেই নিরাপদ নয়। তার কারণ, সাধারণত বাথরুমগুলি বদ্ধ এবং ছোটো হয়। ফলে এরকম জায়গায় ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ সারুন, গল্পগাছার তো প্রশ্নই ওঠে না। তাই বলে জল খাওয়া কমাবেন না, তাতে কিন্তু আরও নানান জটিল সমস্যা হতে পারে। দিনে আট থেকে দশ গ্লাস জল খেতেই হবে। এবং বাথরুম যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে গিয়ে ব্লাডার খালি করে আসতেই হবে। সঙ্গে আপনার নিজের টিস্যু রোল আর টয়লেট সিট স্যানিটাইজার ক্যারি করুন অতি অবশ্যই।
বাথরুমে ঢোকার দরজার হাতলে সরাসরি হাত দেবেন না। তা ধরুন টিস্যু দিয়ে। কলের মাথাটাও ওইভাবে খুলে নিন, তার পর টিস্যু ফেলে দেবেন। হাত ধুয়ে নিন একবার। এবার কিউবিকলে ঢুকে স্যানিটাইজার ছড়িয়ে টিস্যু দিয়ে টয়লেট সিট মুছে নিন একবার। তা ব্যবহার করুন। নিজেকে ধুয়ে নিন ভালো করে, তার পর যৌনাঙ্গ শুকনো করে মুছে নিতে হবে। স্যাঁতসেঁতে থাকলে কিন্তু ভ্যাজাইনা বা ভালভায় নানা সংক্রমণ হতে পারে। ফ্লাশ করার পর টয়লেট সিট ফের একবার স্যানিটাইজ করে দিন পরের ব্যবহারকারীর জন্য। বেরিয়ে এসে খুব ভালো করে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন। তার পর নিজের জায়গায় ফিরে গিয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারে।
পাবলিক টয়লেটের কোনও সারফেস বা দরজার হাতল নিরাপদ নয়। ব্যবহারের আগে সে কথা অক্ষরে অক্ষরে মনে রাখবেন। কোথাও সরাসরি হাত দেওয়ার দরকার নেই। টিস্যু দিয়ে স্পর্শ করুন সব কিছু। সেই সঙ্গে সঠিক খাবার খান, ভিটামিন সি যেন খাদ্যতালিকায় অবশ্যই থাকে তা দেখবেন। মেনে চলুন যৌন স্বাস্থ্যবিধিও। প্রতিদিন বদলান অন্তর্বাস, সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করাও খুব জরুরি অভ্যেস।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন