করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে একদিনে সবচেয়ে বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে গতকাল (১লা এপ্রিল)। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম একদিনে এক লাখের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলো।
মৃত্যুর সংখ্যার হিসেবেও গতকাল সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সারাবিশ্বে। মারা যাওয়া ৬ হাজারের বেশি মানুষের অর্ধেকের বেশিই স্পেন, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে।
এনিয়ে করোনাভাইরাসে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ১লা এপ্রিলের আগে মার্চের শেষ সাতদিন গড়ে প্রতিদিন সংক্রমণ হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষের মধ্যে। গড়ে প্রতিদিন মারা গেছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
১লা এপ্রিল প্রকাশিত হওয়া ৩১শে মার্চের পরিসংখ্যানে একদিনে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হিসেব পাওয়া যায় এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিনে চার হাজার ছাড়ায়।
গত ২৪ ঘন্টায় প্রথমবারের মত একদিনে ১ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই নতুন করে সংক্রমণ ঘটেছে ২৫ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে।
৩১শে মার্চের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় অনুমান প্রকাশ করেছিল ভাইরাস সংক্রমণের এই ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে সারাবিশ্বে সংক্রমণের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও ৫০ হাজার পার করতে পারে।
এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মানুষের মধ্যে এবং ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের কী অবস্থা?
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র শুরুতে চীনে হলেও এখন পরিস্থিতির প্রায় শতভাগ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে চীন।
বর্তমানে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইতালি। দ্রুত অবনতি হচ্ছে স্পেন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়ামসহ আরো বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের পরিস্থিতিরও।
কোভিড-১৯ এ সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
- ইতালিতে ১৩,১৫৫ মৃত্যু
- স্পেনে ৯,৩৮৭ মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রে ৫,১১৬ মৃত্যু
- ফ্রান্স ৪,০৪৩ মৃত্যু
- চীন ৩,৩১৬ মৃত্যু
- ইরান ৩,০৩৬ মৃত্যু
- যুক্তরাজ্য ২,৩৫৭ মৃত্যু
- নেদারল্যান্ডস ১,১৭৩ মৃত্যু
- জার্মানি ৯৩১ মৃত্যু
- বেলজিয়াম ৮২৮ মৃত্যু
সূত্র: বিবিসি