দেশে মানসিক রোগের বর্তমান অবস্থার পরিসংখ্যান জানতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং এটির ফলও চলতি বছরেই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রন রোগ কর্মসূচির আওতায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এই জরিপটি পরিচালনা করবে।
এই জরিপে ৪৯৬ টি প্রাইমারী স্যাম্পলিং ইউনিট কাজ করবে। ট্যাবের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জরিপে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কুসংস্কার, চিকিৎসার ক্ষেত্রে কি কি বাধা আছে, এবং মানসিক রোগের প্রকোপ এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রায় নয় হাজার মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি দুই হাজার দুই’শ জন শিশুকেও ইন্টারভিউ করা হবে।
২০১৯ সালের মধ্যেই জরিপের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা হবে বলে জানান ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
জরিপে প্রধান গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম।
মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষের ধারনা কি, কুসংস্কার আছে কিনা, সচেতনতা আছে কিনা, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সেবা নেওয়ার প্রবণতা কতটুকু বা মানসিকভাবে অসুস্থ হলে তাদের সেবা গ্রহণে অনীহা কতটুকু, কোথায় সেবা পেতে পারে, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের বিশ্বাস কি, পাশাপাশি কোন কোন ধরনের মানসিক রোগ আমাদের দেশে বেশি হচ্ছে সেটিও জানা হবে এই জরিপের মাধ্যমে।
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছ থেকে ৪৯৬ টি প্রাইমারী স্যাম্পলিং ইউনিট নেওয়া হয়েছে। র্যান্ডম সিলেকশনের ভিত্তিতে প্রতি ইউনিটে ২২ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানান ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
উল্লেখ্য, দেশে সর্বশেষ মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ করা হয় ২০০৩-২০০৫ মৌসুমে।