আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা,দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আমাদের আজকের চিঠি পাঠিয়েছেন -রাসেল
প্রশ্ন: আমার চাচার বয়স ৬০ বছর। ওনার সমস্যা হচ্ছে উনি একা একা কথা বলতে থাকে। হাটতে হাটতে কথা বলে, কাজ করার সময় কথা বলে, বসে থাকলেও কথা বলে। উনি সারাদিন যা ভাবে তাই বলতে থাকে। উনি কথা বলার সময় কোন শ্রোতার প্রয়োজন হয়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কি করণীয় হতে পারে?
চিঠির উত্তর : ধন্যবাদ আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য এবং নিয়মিত ‘মনের খবর’ পড়ার জন্য, ‘মনের খবরের’ সাথে থাকার জন্য। আপনার চাচার বয়স ৬০ বছর। ব্যাপারটা এরকম যে যেকোন সমস্যাই যদি তার নিজের জন্য ক্ষতিকর না হয় এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকর না হয় সেটাকে রোগ পর্যায়ে নিবো না এবং সেটাকে চিকিৎসার পর্যায়ে আনার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। উনি যেহেতু একা একা কথা বলে এটা যদি অন্যের জন্য ক্ষতিকর না হয় তাহলে আমরাও কনসার্ন না হই, কোন চিকিৎসার সরনাপণ্ণ না হই। তবে হ্যাঁ যদি মনে হয় এটা বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে এবং উনি নিজেও সেটা করতে চাননা তখন প্রশ্ন আসতে পারে চিকিৎসার। আর উনি যদি এই বিষয়ে চিন্তিত না হয় এবং ওনার এই সমস্যা যদি অন্যদের উপর সরাসরি ইমপ্যাক্ট না ফেলে তাহলে আসলে এটার চিকিৎসার দরকার নাই। যদি উনি নিজে কোন সমস্যা মনে করে তাহলে পরবর্তিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন, আমরা চেষ্টা করবো সেটার সমাধান দেয়ার জন্য অথবা কি করণীয় সেটা বলার জন্য। ধন্যবাদ মনের খবরের কথাগুলো পড়বেন।
উত্তর দিয়েছেন: প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর।