আপনার শিশুটি কি পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছে

শিশুদের মাঝে অনেকেই বিভিন্ন প্রকার ঘুমের সমস্যায় ভোগে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ সমস্যাগুলো হয় ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু,  কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে তাদের ঘুমের সমস্যা দৈনন্দিন কর্মকান্ড এবং তাদের সার্বিক সুস্থতায় তাৎপর্যপূর্ণ নেতিবাচক প্রভাব রাখে। অনেক সময় শিশুর রাতে ঘুম না হওযার কারণে মা-বাবারও ঘুমের সমস্যা হয়, নিজেদের মাঝে মনোমালিন্য হয়, একে অপরকে দোষারোপ করে, স্বাস্থ্যহানি হয়, কাজে ব্যাঘাত ঘটে, সম্পর্কে টানাপোড়েন চলতে থাকে। তথাপি অনেক মা-বাবাই বোঝেন না তাদের শিশুর ঘুমের সমস্যা রয়েছে অথবা তা সমাধানের ব্যাপারে সচেতন থাকেন না।

শিশুদের ঘুমের সমস্যা তখনই তাদের মা-বাবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে যখন শিশুরা আশানুরূপ পড়াশোনা করতে পারে না, স্কুলের সময় ঘুমায়, মাথাব্যথা হয়, মনোযোগে সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, স্কুল থেকে অভিযোগ আসে কিংবা শিশু কথায় কথায় রাগ দেখাতে শুরু করে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ১-৫ বৎসর বয়সের শিশুদের মাঝে ও শতকরা ২৫ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের ঘুমের সমস্যায় ভোগে। ঘুমের সমস্যাগুলো বিভিন্ন মাত্রায়, বিভিন্ন রূপে হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসায় ভালো হয়। তাই মা-বাবার তাদের শিশুদের ঘুমের সমস্যা এবং লক্ষণের ব্যাপারে জানা গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বয়স অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর দৈনিক কত ঘণ্টা স্বাভাবিক এবং গুণগত মানসম্মত ঘুম প্রয়োজন তা জানা।

বয়স অনুযায়ী শিশুর প্রয়োজনীয় ঘুমের সময়-তালিকা-
১-৪ সপ্তাহ : ১৬-১৭ ঘণ্টা।
১-৪ মাস : ১৬-১৭ ঘণ্টা। রাতের ঘুমে পরিমাণ বাড়তে থাকে।
৪ মাস-১ বছর : ১৪-১৫ ঘণ্টা।
১-৩বছর : ১২-১৪ ঘণ্টা। রাতেই বেশি ঘুমায়, দিনে একবার ন্যাপ নেয় অথবা অল্প সময়ের জন্য ঘুমায়।
৩-৬ বছর : ১১-১২ ঘণ্টা।
৭-১২ বছর : ১০-১২ ঘণ্টা।
১৩-১৮ বছর : ৬-৮ ঘণ্টা মোটাদাগে শিশুদের ঘুমের সমস্যাকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়-ডিস্সমনিয়া, প্যারাসমনিয়া।

ডিস্সমনিয়া: ইনসমনিয়া এবং হাইপারসমনিয়ার মাঝে অন্তর্ভুক্ত। ইনসমনিয়া হলো ঘমুাতে যাওয়ার পর সহজে ঘুম না আসা, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া, খুব সকালে ঘুম ভেঙে যাওয়া অথবা একেবারেই ঘুম না হওয়া ইত্যাদি। যা কয়েকদিন থেকে সপ্তাহ, অথবা কয়েক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, যা শিশুর দৈনন্দিন কর্মকান্ডকে ব্যাহত করে, শিশুর মাঝে সতেজ অনভুতির অভাব তৈরি করে, ফলে শিশুর মাঝে দিনের বেলা ঘুম ঘুম ভাব থাকে। মানসিক চাপ, শারীরিক অসুস্থতা (ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ, অ্যালার্জি বা চুলকানি রোগ, থাইরয়েডর সমস্যা, হাড় এবং মাংসপেশিতে ব্যথা, গলা-বকু জ্বলা, দাঁত ব্যথা ইত্যাদি), মানসিক রোগ (ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি), ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি ইনসমনিয়ার কারণ হতে পারে।

কিছু স্নায়ুবিকাশজনিত রোগ যেমন: অটিজম, অ্যাসপারজারস সিনড্রোম, লার্নিং ডিজঅ্যাবিলিটি, হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার ইত্যাদিও শিশুদের ইনসমনিয়ার কারণ হতে পারে। আপনজনদের (বাবা, মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি অথবা গুরুত্বপূর্ণ পরিচর্যাকারী) কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ভয়, স্কুলে পড়ার চাপ, পারিবারিক দ্বন্দ-কলহ, বুলিং, ভাই-বোন বা বন্ধুর সাথে কলহ, নতুন স্থানে গমন, নতুন রুটিন ইত্যাদি শিশুদের মানসিক চাপের কারণ হতে পারে এবং তা থেকে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় নির্দিষ্ট কোনো গান, গল্প না শুনলে শিশুর ঘুম আসে না, নির্দিষ্ট কোনো আপনজনের নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে আদর করা, জড়িয়ে ধরা, কোলে নেয়া ইত্যাদির অভাববোধ করলেও শিশু ঘুমাতে পারে না। এমন মাঝে মাঝে হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু তা বেশিদিন চলতে থাকলে অবশ্যই তা ঘুমের সমস্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
হাইপারসমনিয়া: হাইপারসমনিয়া হলো রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও দিনের বেলায় ঘন ঘন ঘুমানো অথবা তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকা এবং ক্লান্তবোধ করা, সকালবেলা ঘুম থেকে জাগতে কষ্ট হওয়া। অব্সট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া, নারকোলেপ্সি, রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম ইত্যাদি হাইপারসমনিয়ার কারণ।

প্যারাসমনিয়া: ঘুমের বিভিন্ন ধাপে অথবা ঘুমের মাঝে অথবা ঘুম এবং সজাগ অবস্থার মাঝামাঝি পর্যায়ে সংঘটিত কিছু আচরণ বা শারীরবৃত্তীয় কাজের উপস্থিতি থাকলে সেটিকে বলা হয় প্যারাসমনিয়া। যেমন : নাইটমেয়ার, নাইট টেরর, স্লিপ ওয়াকিং, ব্রুক্সিজম, স্লিপ ইন্যিউরেসিস, স্লিপ অ্যাপনিয়া, রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম ইত্যাদি।

নাইটমেয়ার: এটিকে ড্রিম অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার বা স্বপ্নোদ্বেগ রোগও বলা যায়। এক্ষেত্রে শিশু স্বপ্নে এমন কিছু দেখে যা তাকে উদ্বিগ্ন, ভীত এবং অস্থির করে তোলে। ঘুমের র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট (REM) ধাপে এটি হয়। এক্ষেত্রে শিশু রেম স্লিপ থেকে সম্পূর্ণ সচেতন অবস্থায় ফিরে আসতে পারে এবং স্বপ্নের বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারে। দিনের বেলায় ঘটে যাওয়া কোনো ভীতিকর অবস্থা থেকে অথবা উদ্বেগজনিত কারণে (পরীক্ষার পূর্বে আপনজন অসুস্থ থাকলে, কারো কাছ থেকে হুমকি পেলে) এটি ঘনঘন হতে পারে। ৫-৬ বৎসর বয়সের শিশুদের মাঝে এটি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। আঘাত পরবর্তী মানসিক চাপজনিত রোগ, জ্বর, মানসিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ এবং মাদকের প্রত্যাহারজনিত কারণেও এমন হতে পারে।

নাইটটেরর: এটি নন-রেম স্লিপে ঘটে। ঘুমাতে যাওয়ার ৯০ মিনিট পর অথবা প্রতি ৯০ মিনিট অন্তর অন্তর শিশুর ঘুম ভেঙে যায়, সে শোয়া থেকে ওঠে বসে, কখনো দাঁড়িয়ে যায়, কখনো ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটে, প্রচন্ড অস্থির এবং আতঙ্কগ্রস্ত থাকে। কখনো জোরে কান্নাকাটি করে। হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। শিশু বুঝতে পারে না তার কী করতে হবে। তবে কয়েক মিনিটের মাঝেই শিশুটি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যায় এবং আবার ঘুমিয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে শিশু স্বপ্নে কী দেখেছে তা মনে করতে পারে না বা করলেও খুব কম মনে করতে পারে। এটি নাইটমেয়ারের চেয়ে কম পরিলক্ষিত হয়। পরিবারে কারো এ রোগ থাকলে বংশগতভাবে হতে পারে। সাধারণত শৈশবে শুরু হয়ে শৈশবেই শেষ হয়, তবে কখনো কখনো প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও চলতে থাকে।

স্লিপওয়াকিং: শিশু ঘুমের মাঝে হাঁটে। এটি নন্-রেম স্লিপের গভীর পর্যায়ে (স্টেজ ৩-৪ ) হয়। সাধারণত রাতের প্রথমার্ধে হয়। ৫-১২ বৎসরের শিশুদের মাঝে সর্বাধিক পরিলক্ষিত হয়। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের মাঝে প্রতি ১০০ জনে ১৫ জন শিশু অন্তত একবার ঘুমের মাঝে হাঁটে। মাঝে মাঝে বড়ো হওয়ার পরও এ সমস্যা থেকে যায়। এটি পারিবারিক বা বংশগতভাবে হতে পারে। ঘুমের মাঝে অধিকাংশ শিশু সত্যিকার অর্থে হাঁটে না। তারা ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায়, নড়াচড়া করে, সাধারণত চোখ খোলা রেখে চারপাশে হাঁটে, কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় না এবং তাদেরকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন হয়। সাধারণত তারা আবার বিছানায় ফিরে যায়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়। এরা রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কী কী করেছিল তা পরদিন মনে করতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরা নিজের এবং অন্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ, নিজের অজান্তে নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকারক কিছু করে ফেলতে পারে। তাই তাদের জন্য প্রতিরক্ষামলূক ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেমন : দরজা-জানালা তালাবন্ধ রাখা, ঝুঁকিপর্ণূ জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা ইত্যাদি।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: একজন শিশু যদি ঘুমের মাঝে ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় শ্বাস নিতে না পারে তাহলে তা ভীতিকর। লক্ষ করলে দেখা যাবে, শিশুটি জোরে জোরে নাক ডাকছে, মুখ খোলা রেখে ঘুমাচ্ছে, দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব থাকছে। বেশিরভাগ শিশু জানেই না তারা এমন করছে। শিশুদের টন্সিল, এডেনয়েড, কানের সংক্রমণের কারণেও রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। দিনের বেলায় ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে-পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজে মনোযোগ দিতে পারে না, মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়ে, আচরণগত সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে।

রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম: গবেষণা বলছে শিশুদেরও এটি হতে পারে, যদিও এটি বড়োদের রোগ হিসেবে পরিচিত। শিশুরা বলতে পারে ‘পায়ে পোকা হাঁটছে’ ‘পা ঝি ঝি করছে’ এমন অনুভূতির কথা। পায়ের মাঝে অস্বস্তি অনুভূতি থেকে রেহাই পেতে তারা বিছানায় ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করে, আর তাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

স্লিপ ইন্যিউরেসিস বা বেড ওয়েটিং: শারীরিক কোনো সমস্যা বা রোগ না থাকা সত্ত্বেও পাঁচ বছর বয়সের পর যদি কোনো শিশু প্রায় প্রতিদিনই ঘুমের মাঝে বিছানা ভিজিয়ে ফেলে তাহলে তার স্লিপ ইন্যিউরেসিস আছে বুঝতে হবে। সাধারণত ছেলেদের মাঝে এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। এই অনাকাঙ্খিত আচরণ পরিবর্তনের জন্য কন্টিনজেন্সি (শর্তসাপেক্ষ) ম্যানেজমেন্ট বা স্টার চার্ট মেথড ভালো কাজ করে। তাছাড়া, বেল অ্যান্ড প্যাড সিস্টেম সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং কার্যকর। ব্লাডার ট্রেইনিং, ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুর্হূতে চা, কফি ইত্যাদি না খাওয়া, সন্ধ্যার পর কম পানি খাওয়া, ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ব্লাডার খালি করা ইত্যাদি। সবগুলো পদ্ধতি একসঙ্গে অনসুরণ করলে শতকরা ৯৯ জন রোগী তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি লাভ করে। তাছাড়া ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টসের মাঝে ইমিপ্রামিন ভালো কাজ করে, যা একজন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনযুায়ী গ্রহণ করা উচিত।

ব্রুক্সিজম: ঘুমের মাঝে বেশি বেশি দাঁতে দাঁত পেষা, শব্দ করে দাঁত খিঁচা ইত্যাদি। অনেকেই মনে করেন পেটে কৃমি হলে এমন হয়। আসলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ অথবা দাঁতের কোনো সমস্যা থাকলে এমন হয়। আর এতে ঘুম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। তাই এটিকে ঘুমের সমস্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এতে দাঁত, জিহ্বা, চোয়াল, গালের ভেতরের অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এ সমস্যাটি গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করতে হবে। প্রতিটি মানুেষর জীবনে ঘুম একটি অত্যাবশ্যকীয় এবং অপরিহার্য বিষয়। শিশুদের জন্য ভালো মানের পর্যাপ্ত ঘুম আরো বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, বিভিন্ন প্রকার আচরণগত ও আবেগীয় সমস্যা তৈরি হতে পারে, মনোযোগ ও স্মরণশক্তি কমে যেতে পারে, কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে, শিশু বেশি বেশি খাওয়া শুরু করতে পারে এবং মুটিয়ে যেতে পারে, বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শিশুদের ঘুমের সমস্যা থাকলে প্রথমত তা সনাক্ত করা খুব জরুরি। এ সমস্যার জন্য দায়ী কারণও খুঁজে বের করতে হবে। আর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের অধীনে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।

শিশুর ঘুমের সমস্যা দূর করতে কিছু পরামর্শ:

  • প্রথমত শিশুর জন্য ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে-পরিচিত, পরিচ্ছন্ন এবং আরামদায়ক বিছানা দিতে হবে, শোবার ঘরটা কিছুটা অথবা পুরোপুরি অন্ধকার রাখতে হবে, শান্ত-নীরব-কোলাহলমক্তু ঘরে ঘমুাতে দিতে হবে।
  • স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমের জন্য ঘুমের রুটিন তৈরি করতে হবে-প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জাগতে হবে এবং বিছানা ছাড়তে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধুলা করতে হবে।

যা করা যাবে না

  • ঘুমাতে যাওয়ার আগের ৪-৫ ঘণ্টা সময়ে ব্যায়াম করা, ভারী কাজ করা, চা, কফি পান করা।
  • বিছানায় বসে রেডিও শোনা, টিভি দেখা, মোবাইল চালানো, গল্পের বই পড়া, গেম খেলা।
  • দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুমানো।
  • রাত ৯ টার পর ভারী খাবার খাওয়া।
  • বিছানায় অধিক সময় জেগে কাটানো ঘুমাতে যাওয়ার আগে উত্তেজনাকর কোনো কাজ, কথা, গল্প করা, চিৎকার করা, উত্তেজনা তৈরি করবে এমন কোনো নাটক, সিনেমা দেখা ইত্যাদি।
  • শিশু ঘুমিয়ে পড়লে বা ক্লান্ত মনে হলে বা চোখে ঘুম ঘুম ভাব থাকলে তাকে কোলে নিয়ে বসে থাকা যাবে না, তাকে তার বিছানায় শুইয়ে দিতে হবে।
  • কোনো শারীরিক বা মানসিক রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।

সূত্র: লেখাটি মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।

মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন ক্রয়ের বিশেষ অফার

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

Previous articleডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে হতাশা!
Next articleঅতীত সম্পর্ক নিয়ে অনুতাপে ভুগছেন?
ডা. সাইফুন নাহার সুমি
সহকারি অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here