গণমাধ্যমে আত্নহত্যা সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সংবাদ কর্মীদের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত পোস্টারে আত্মহত্যা সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনকালে যা করতে হবে এবং সংবাদ পরিবেশনকালে যা করা উচিত নয় সে সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।
পোস্টারে উল্লেখিত নির্দেশনাগুলি হল:
সংবাদ পরিবেশনকালে যা করতে হবে
- আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা কোথায় কিভাবে সাহায্য পেতে পারেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করুন
- আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য দিয়ে জনগণকে সচেতন করুন
- কিভাবে মানসিক চাপ বা আত্নঘাতী চিন্তা মোকাবেলা করা যায় এবং কিভাবে সাহায্য পাওয়া যায় সে সম্পর্কে সহায়ক সংবাদ প্রকাশ করুন
- সেলিব্রেটি/বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশনে সর্তকতা অবলম্বন করুন
- শোকগ্রস্ত পরিবার বা বন্ধুদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় সাবধাণতা অবলম্বন করুন; যেন আপনার কোন প্রশ্নে তার মনে আঘাত না পায়
- আত্মহত্যার সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনকারী সংবাদকর্মী নিজেও আত্মহত্যার ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে তারা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন
সংবাদ পরিবেশনকালে যা করা উচিত নয়
- আত্মহত্যার সংবাদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রকাশ করবেন না এবং অযথা সংবাদটি পুনরাবৃত্তি করবেন না
- এমন কোন ভাষা ব্যবহার করবেন না যেন মনে হয় আত্মহত্যা স্বাভাবিক ঘটনা অথবা আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান
- বিস্তারিতভাবে আত্মহত্যার পদ্ধতির বিবরণ প্রদান করবেন না
- আত্মহত্যার স্থান নিয়ে বিশদ বিবরণ প্রদান করবেন না
- উদ্দীপনার খোরাক দেয় এমন শিরোনাম ব্যবহার করবেন না
- ছবি, ভিডিওি ফুটেজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন লিংক প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণে প্রকাশিত এই পোস্টারটি সকল মিডিয়া হাউসে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।