রাগ মানুষের স্বাভাবিক একটি আচরণ। তবে অনিয়ন্ত্রিত রাগ মারাত্মক ক্ষতিকর। যার প্রভাব পড়তে পারে ব্যক্তিজীবন, সামাজিক, পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে। এমনকি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও রাগের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
রাগ যখন স্বাভাবিকের পর্যায়ে থাকে না তখনই তা নিয়ন্ত্রণের দরকার হয়। যেমন কেউ যদি আক্রমণাত্মকভাবে সেটি প্রকাশ করে, মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে আঘাত দিয়ে বা জিনিসপত্র ভাঙচুর করে যদি কেউ রাগ প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে রাগ নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই।
আকস্মিক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা তাৎক্ষণিক কিছু কাজ করতে পারি। যেমন:
যে জায়গাটিতে রেগে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে সরে যান। সব সময় যদিও তেমন পরিস্থিতি থাকে না কিন্তু এটা করতে পারলে রাগের মাথায় অনেক ভুল কাজ করে ফেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন।
কারো কোনো কথায় যদি রাগ উঠে যায় তবে চেঁচামেচি না করে যার ওপরে রাগ হবে তার কাছ থেকে সরে যান। পরবর্তীতে যখন রাগ কমবে তখনই সেই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন। তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
রাগ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিশ্বাসের দিকে মনোযোগটা নিয়ে যান। আর এজন্য নিশ্বাসের ব্যয়াম করা যেতে পারে। যা রাগ কমাতে সাহায্য করে। ব্যায়ামটি হলো নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিন, সেটাকে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, তারপর সেটি মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন।
বাড়ির বা অফিসের যেকোনো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়–ন। যে কারণে আপনি রেগে গেছেন সেটি মাথা থেকে সরে গেলেই দেখবেন আপনার রাগ পড়ে যাবে। হাতের কাছে কাগজ থাকলে সেটাতে আঁকাআঁকি বা কাটাকাটি করতে শুরু করুন। রাগ কমাতে এটিও ভালো কাজে দেয়।
যদি রাগ হওয়ার সময়ে বাড়িতে থাকেন, তবে দরজা বন্ধ করে সাজগোজ করুন। নিজেকে সুন্দর করে পরিপাটি করুন, মনের মতো করে যেভাবে খুশি সাজগোজ করুন।
যখন বুঝবেন রাগ উঠছে তখনই চেষ্টা করবেন যে কারণে রাগ উঠছে সেই কারণ থেকে মনোযোগ সরিয়ে মনকে অন্য কাজে ব্যস্ত হতে। আর এজন্য করতে পারেন পছন্দের কোনো কাজ। যেমন- পছন্দের গান শুনতে পারেন কিংবা দেখতে পারেন মজার কোনো ভিডিও।
এই চেষ্টাগুলো রাগ কমাতে আপনার কাজে নাও আসতে পারে কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আর একান্তই যদি এতে কাজ না হয় তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এবং মনের খবরের সাথে থাকুন।
মাহজাবিন আরা
প্রতিবেদক, মনের খবর।