রাজধানী ঢাকার ৯ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে ৭৮ শতাংশের কোনো প্রকার উপসর্গ নেই।
ইউএসইড, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আইইডিসিআর এবং আইসিডিডিআর.বি যৌথ উদ্যোগে পরিচারিত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত ১৮ এপ্রিল এবং ৫ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত জরিপটি পরিচালিত হয়। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকার মোট ৩ হাজার ২২৭টি গৃহে এই জরিপ চালানো হয়।
জরিপে পরিবারগুলোকে পরীক্ষার মাধ্যমে উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন, দুভাগে বিভক্ত করা হয়। জরিপের দিন বা আগের সাত দিনের মধ্যে কোনো পরিবারের কোনো সদস্যের মধ্যে যদি কোভিড-১৯ এর চারটি উপসর্গের একটি চিহ্নিত হয়েছে, তবে সেই পরিবারকে ‘উপসর্গযুক্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আর জরিপের দিন বা এর আগের সাত দিনের মধ্যে যদি কোনো পরিবারের কোনো সদস্যের মধ্যে কোভিড-১৯–এর কোনো লক্ষ্মণ না পাওয়া গেলে সেই পরিবারকে উপসর্গহীন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।এই জরিপে উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন উভয় পরিবারের সদস্যদের পরীক্ষা করা হয়েছে।
দুই সিটির ৩ হাজার ২৭৭ পরিবারের মধ্যে ২১১ জন লক্ষ্মণযুক্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়। এসব লক্ষ্মণযুক্ত পরিবারের মধ্যে থেকে ৪৩৫ জন উপসর্গহীন ব্যক্তি সনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২০১ জনের পরীক্ষা করা হয়। আর উপসর্গহীন পরিবারের মধ্যে থেকে ৮২৭ জন উপসর্গহীন ব্যক্তি সনাক্ত হন। তাদের মধ্যে থেকে ৫৩৮ জনের পরীক্ষা করা হয়। এ জরিপে ঢাকার ছয়টি বস্তিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেখানে পরিবারের সংখ্যা ছিলো ৭২০।
জরিপে দেখা যায়, মোট পরিবারের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ করোনা উপসর্গযুক্ত।
যেখানে সামগ্রিক জনসংখ্যার ৯ শতাংশের মধ্যে করোনা পাওয়া যায়, সেখানে বস্তিবাসীদের মধ্যে করোনার উপস্থিতি ছিলো ৬ শতাংশ। আর সামগ্রিকভাবে ৮ শতাংশ উপসর্গহীন ব্যক্তিদের মাঝে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ উর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ১৩ শতাংশ পজিটিভ সনাক্ত হয়। আর ১৫ – ১৯ বয়সী মধ্যে ১২ শতাংশ করোনাভাইরাস উপস্থিতি দেখা গেছে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৬ শতাংশের মধ্যে কোভিড ১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা পরিস্থিতির তুলনায় অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সমীক্ষায়।
ফলাফল আরও বলছে, অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের উপসর্গযুক্তদের ৯৩ শতাংশের মধ্যে জ্বর, ৩৬ শতাংশের মধ্যে সর্দি-কাশি দেখা গেছে, ১৭ শতাংশের গলাব্যথা দেখা গেছে এবং মাত্র ৫ শতাংশের মধ্যে পরীক্ষার দিন শ্বাসকষ্টের লক্ষ্মণ দেখা গেছে।
আর উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যার মধ্যে মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গযুক্ত মৃত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মারা যান।
আইইডিসিআর তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জরিপের এই ফলাফল প্রকাশ করেছে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন