শৈশব কিংবা বয়ঃসন্ধিকালে বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের ধূপমানের সংস্পর্শে আসার কারণে ওই সন্তানের মধ্যবয়সে মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে যেতে পারে, এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা।
‘আমেরিকাল জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, “ক্রমেই বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া প্রজন্মের মাঝে জ্ঞানীয় ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া কিংবা লোপ পাওয়া বর্তমানে সচরাচর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধূপমানের সঙ্গে এই সমস্যাগুলোর সরাসরি সম্পর্ক আছে। আর এখন বলা যেতে পারে যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণেও একই সমস্যার ঝুঁকি প্রবল।”
‘লংজিটিউডেনল ফিনিশ স্টাডি’র ফলাফলে দেখা যায়, “শৈশবে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব ওই ব্যক্তির মধ্যবয়স পর্যন্ত গড়াতে পারে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার জ্ঞানীয় ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি।”
ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ টুর্কু’র গবেষকরা বলেন, “এবিষয়ক আগের গবেষণাগুলোর মনযোগ ছিল পরিণত বয়সে ধূমপান করা ও পরোক্ষভাবে তার সংস্পর্শে আসার তাৎক্ষণিক প্রভাবের ওপর। তবে এই গবষণা সম্পূর্ণ নতুন তথ্য তুলে ধরেছে।”
শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের পরোক্ষ ধূমপান থেকে সুরক্ষিত রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেয় এই গবেষণা, যাতে তারা পরিণত বয়সে সুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে বাঁচতে পারে।
এই গবেষণায় ৩৪ থেকে ৪৯ বছর বয়সি দুই হাজার অংশগ্রহণকারীর জ্ঞানীয় ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
এই শিশু, কিশোররা পরবর্তী সময়ে নিজে ধূমপান করেছে কি-না তার সঙ্গে ফলাফলে কোনো সম্পর্ক দেখা যায়নি বলেই জানান গবেষকরা। মস্তিষ্কের দুর্বলতা এই হার পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়ার কারণে প্রায় পাঁচ বছর এগিয়ে যায়।