ঘুমের পূর্বে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার শিশুদের কম ঘুম ও স্থুলতার কারণ হতে পারে! সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
এর আগে একাধিক গবেষণার মাধ্যমে কিশোরদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের অধিক ব্যবহার ও ঘুমের হার কমে যাওয়ার মধ্যে একটা সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। এমনকি বিভিন্ন কাজে তাদের মনোযোগ কমে যাওয়ার সাথেও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সম্পর্ক পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইসের অধিক ব্যবহারের সাথে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ারও সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে।
কিন্তু ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার শিশুদের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে! প্রশ্ন আসতে পারে, কিভাবে? শিশুদের হয়তো নিজেদের মোবাইল ফোন থাকে না, কিন্তু তারা বড়দের ফোন ব্যবহার করে। গেমস খেলে বা ইউটিউবে ভিডিও দেখে। অনেকে কম্পিউটারেও সময় ব্যয় করে। এসব বিষয় বিবেচনা করে এবং শিশুদের ওপর ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট কলেজ অব মেডিসিনের একদল গবেষক ২৩৪ জন শিশুর বাবা-মা’র সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। সেসব সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ঘুমের পূর্বে যেসব শিশু ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে সময় কাটায় তাদের ঘুম কম হয় বা পরিপূর্ণ ঘুম হয় না। যে কারণে তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে সতেজ অনুভব করার বদলে ক্লান্তি অনুভব করে। এসব শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক ওজনের অধিকারীও হয়ে থাকে।
ঘুমের পূর্বে যেসব শিশু টিভি দেখে বা ভিডিও গেম খেলে, তারা সাধারণত টিভি না দেখা ও ভিডিও গেম না খেলা শিশুদের চেয়ে গড়ে আধা ঘণ্টা কম ঘুমায়। আবার যেসব শিশু ঘুমের পূর্বে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সময় কাটায়, তারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার না করা শিশুদের চেয়ে গড়ে একঘণ্টা কম ঘুমায়।
যদিও বর্তমান সময়ে টেকনোলজি থেকে দূরে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব না বরং দূরে থাকার চেষ্টা করাটাই আসলে বোকামি; তারপরেও আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্সর (এএপি)গবেষকরা শিশুদের অভিভাবকদের পরামর্শ দিচ্ছেন যে, তারা যেন সন্তানদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের প্রতি দৃষ্টি রাখেন। শিশুদের যেন অধিক মাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত রাখেন।
তথ্যসূত্র: https://psychcentral.com/news/2017/12/10/screen-time-before-bed-linked-to-less-sleep-higher-bmis-in-kids/129720.html
এফএস/এমএসএ