অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির মতে, অস্ট্রেলিয়ার ৪৫ শতাংশ মানুষ নানা ধরণের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে যেমন উদ্বিগ্নতা, বিষণ্নতা এবং সাবস্টেন্স এবিউজ এ ধরণের সমস্যায় আক্রান্ত এবং তারা কখনো এজন্য সাহায্য চায়নি। এপিএস এই সংখ্যায় বছরের মানসিক স্বাস্থ্য সপ্তাহের মূল বাক্য- বিলিভ ইন চেইঞ্জ (পরিবর্তনে বিশ্বাস করুন) এর মাধ্যমে কমাতে চায়। এই বছরের মানসিক স্বাস্থ্য সপ্তাহ ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর।
এপিএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লিন লিটনফিল্ড বলেন, “আমাদের মানুষকে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের মধ্যে নিজের সমস্যা বিশেষজ্ঞদের জানানোর ব্যাপারটি তৈরি হলে তারা বুঝতে পারবে কীভাবে এই সমস্যা কমানো অথবা দূর করা যায়”।
অস্ট্রেলিয়ান ইন্সটিটিউট অব হেলথ এন্ড ওয়েলফেয়ার এর মতে প্রত্যেক বছর প্রতি ৫ জন অস্ট্রেলিয়ানের মধ্যে ১ জন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় ১৬ থেকে ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় ৩.২ মিলিয়ন মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। এই বয়সের ভাগের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যেই রয়েছে ২৬ শতাংশ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত তরুণ তরুণী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অক্ষমতা হচ্ছে বিষণ্নতা। এই প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ যেমন অলিম্পিক সাঁতারু লিবি ট্রিকেট তার নিজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা সবাইকে জানাবেন এবং একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তাকে কীভাবে সেরে উঠতে সাহায্য করেছেন তা জানাবেন। ট্রিকেট বলেন, “এই সমস্যার সময় নিজেকে আলাদা মনে করা স্বাভাবিক কিন্তু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আপনাকে বদলাতে সাহায্য করতে পারে। প্রথম পদক্ষেপটি হল পরিবর্তনে বিশ্বাস করা”।
তিনি আরো বলেন, “এখনকার সময়ের সবচেয়ে ভাল ব্যাপারটি হল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চাইলেই অনেক বেশি খোলামেলা আলোচনা করা সম্ভব। আমার সারা জীবন এবং ক্যারিয়ার জুড়ে আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়েছি। তারা আমাকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং ভাল কিছু অর্জন করতে সাহায্য করেছেন।
তথ্যসূত্র-
http://www.hcamag.com/hr-business-review/workplace-relations/how-to-encourage-mental-health-conversations-242088.aspx
কাজী কামরুন নাহার, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম