মানসিক চাপে হার্টের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে

0
36

অতিরিক্ত উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে হতে পারে অ্যানজাইটি ডিসঅর্ডার বা উদ্বেগজনিত রোগ। অত্যাধিক ভয় ও দুশ্চিন্তায় হার্টবিট বেড়ে যায়, বুক ধড়ফড় করে ও শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হতে পারে।

উদ্বেগজনিত আক্রান্ত লোকেরা কেবল জীবনযুদ্ধেই পিছিয়ে যায় না, তাদের শরীরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, অতিরিক্ত উদ্বেগ হার্টের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক হার্ট রেট প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিটস। এই সীমা অতিক্রম করলে তা অস্বাভাবিক বা বিপজ্জনক হার্ট রেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত উদ্বেগ ও মানসিক চাপে হার্টের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এটা সময় পরিক্রমায় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি ফাউন্ডেশনের একটি মেটা-অ্যানালাইসিসে পাওয়া গেছে, উদ্বেগে জর্জরিত লোকদের করোনারি আর্টারি ডিজিজের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এটা হলো হার্টের সবচেয়ে প্রচলিত রোগ। কারেন্ট সাইকিয়াট্রি রিপোর্টসে প্রকাশিত রিভিউ থেকে জানা গেছে, উদ্বেগ ব্যাধি থেকে হার্ট ফেইলিউর ও রক্তনালীর রোগ হতে পারে।

আটলান্টি কেয়ার রিজিওনাল মেডিক্যাল সেন্টারের ডিপার্টমেন্ট অব সাইকিয়াট্রির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ব্রায়ান আইজাকসন বলেন, ‘উদ্বেগে আচ্ছন্ন লোকদের হার্ট রেট সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি বেশি। আপনার বুক ধড়ফড় করতে পারে, অপরিণত হৃদস্পন্দন অথবা অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদস্পন্দন হতে পারে।’ গবেষকরা জানান- স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হার্ট রেট কিছু লোকের স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, জ্ঞান হারানো ও হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

অ্যানজাইটি অ্যান্ড ডিপ্রেশন অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সীমাহীন অসঙ্গত আতঙ্কে প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার সময় হার্ট রেট বেড়ে যায় এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুকে ব্যথা ও বুক ধড়ফড় করে। প্যানিক অ্যাটাকের সময় হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে মনে করে ভুল হতে পারে, কারণ উপসর্গগত মিল আছে।

হার্ট রেট বেড়ে গেলে তা কমানোর একটি কার্যকরী উপায় হলো- গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, গভীর শ্বাসক্রিয়ায় হার্ট রেট কমে এবং উদ্বেগও কমে যায়।

গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য একটি নির্জন স্থানে বসে পড়ুন। অথবা শুয়ে পড়ুন। তারপর চোখ বন্ধ করুন। এবার নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস টানুন। আপনি এই ধরনের শ্বাসক্রিয়ায় নতুন হলে বুকের ওপর একটি হাত রাখুন। এতে শ্বাসগ্রহণের সময় বুকের বৃদ্ধি টের পাবেন। অতঃপর মুখের মাধ্যমে ধীরেধীরে শ্বাস ছাড়ুন। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রয়োজন অনুসারে রিপিট করুন।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

Previous articleসম্পর্ক ভাঙনের ফলে মানসিকভাবে কে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত?
Next articleমানসিক দূর্বলতা কাটিয়ে সফল সেলেনা গোমেজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here