সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০১৮ পাস হয়েছে। এতে মাদকের ব্যবহার, সেবন, বহন, আমদানি-রফতানি বা বাজারজাত করার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। শনিবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়।
আইনে ইয়াবা ৫ গ্রামের কম হলে এক থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ইয়াবার পরিমাণ ৫ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলটি গত ২২ অক্টোবর সংসদে উত্থাপিত হলে তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি ৮ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
পাস হওয়া বিলে মাদককে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সব ধরনের মাদককে প্রস্তাবিত নতুন আইনে কভার করবে না। যেকোনও ধরনের মাদক কোনও না কোনোভাবে তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই বিলে মাদকাসক্তের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, শারীরিক বা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি অভ্যাসবশে মাদকদ্রব্য গ্রহণ বা সেবনকারী ব্যক্তি। এ বিলে মাদকের চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, স্থানান্তর, আমদানি, রফতানি, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলামকরণ, ধারণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, সেবন, প্রয়োগ, ব্যবহারকে অপরাধ গণ্য করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনে সিসার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ভেষজ নির্যাসসহ দশমিক ২ শতাংশের ঊর্ধ্বে নিকোটিন এবং এসএস ক্যানেল মিশ্রিত উপাদান।
প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে, অ্যালকোহল ছাড়া অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার হয়, এমন কোনও দ্রব্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ, উৎপাদন, বহন, পরিবহন বা আমদানি–রফতানি, সরবরাহ, বিপণন, গুদামজাত, সেবন বা ব্যবহার, অর্থ বিনিয়োগ বা পৃষ্ঠপোষকতা করা যাবে না। এতে আরও বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তি আইনের এই বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তার যদি এই মর্মে সন্দেহ হয় যে, কোনও ব্যক্তি শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রেখেছেন। সেই ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তা সন্দেহজনক ব্যক্তির শরীরে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, অ্যান্ডোসকপি ও রক্ত-মলমূত্র পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এতে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করতে পারবেন না। চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন বা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনও মুসলমানকে অ্যালকোহল পানের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
তবে মুচি, মেথর, ডোম, চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তাড়ি ও পঁচুই এবং পার্বত্য জেলা বা অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যগতভাবে তৈরি করা মদ পান করার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না।
এই বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি কোনও মাদকদ্রব্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থেকে অবৈধ অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহে লিপ্ত রয়েছেন; মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার এমন সন্দেহ হলে তার ব্যাংক হিসাব বা আয়কর পরীক্ষার প্রয়োজনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
প্রস্তাবিত আইনে কোনও ব্যক্তির কোনও অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে, সাহায্য করলে বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তাকেও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে।
কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তি পেতে হবে।
বিলটি গত ২২ অক্টোবর সংসদে উত্থাপিত হলে তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি ৮ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
পাস হওয়া বিলে মাদককে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সব ধরনের মাদককে প্রস্তাবিত নতুন আইনে কভার করবে না। যেকোনও ধরনের মাদক কোনও না কোনোভাবে তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই বিলে মাদকাসক্তের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, শারীরিক বা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি অভ্যাসবশে মাদকদ্রব্য গ্রহণ বা সেবনকারী ব্যক্তি। এ বিলে মাদকের চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, স্থানান্তর, আমদানি, রফতানি, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলামকরণ, ধারণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, সেবন, প্রয়োগ, ব্যবহারকে অপরাধ গণ্য করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনে সিসার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ভেষজ নির্যাসসহ দশমিক ২ শতাংশের ঊর্ধ্বে নিকোটিন এবং এসএস ক্যানেল মিশ্রিত উপাদান।
প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে, অ্যালকোহল ছাড়া অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার হয়, এমন কোনও দ্রব্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ, উৎপাদন, বহন, পরিবহন বা আমদানি–রফতানি, সরবরাহ, বিপণন, গুদামজাত, সেবন বা ব্যবহার, অর্থ বিনিয়োগ বা পৃষ্ঠপোষকতা করা যাবে না। এতে আরও বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তি আইনের এই বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তার যদি এই মর্মে সন্দেহ হয় যে, কোনও ব্যক্তি শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রেখেছেন। সেই ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তা সন্দেহজনক ব্যক্তির শরীরে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, অ্যান্ডোসকপি ও রক্ত-মলমূত্র পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এতে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করতে পারবেন না। চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন বা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনও মুসলমানকে অ্যালকোহল পানের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
তবে মুচি, মেথর, ডোম, চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তাড়ি ও পঁচুই এবং পার্বত্য জেলা বা অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যগতভাবে তৈরি করা মদ পান করার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না।
এই বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি কোনও মাদকদ্রব্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থেকে অবৈধ অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহে লিপ্ত রয়েছেন; মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার এমন সন্দেহ হলে তার ব্যাংক হিসাব বা আয়কর পরীক্ষার প্রয়োজনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
প্রস্তাবিত আইনে কোনও ব্যক্তির কোনও অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে, সাহায্য করলে বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তাকেও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে।
কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তি পেতে হবে।