মনকে শান্ত রাখার সহায়ক কিছু কৌশল

0
130
মনকে শান্ত রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

মনকে শান্ত, স্থির রাখা অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে মনকে শান্ত রাখা কি এত সহজ? উত্তরটা হলো, মোটেই না।
তবে কিছু মানসিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিন্তু মনকে শান্ত রাখা যায়। যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখার জন্য মেনে চলতে পারেন কিছু কৌশল:

১. সামাজিক দক্ষতা ভালো রাখা
আসলে মনকে শান্ত রাখতে হলে সামাজিক দক্ষতা ভালো থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রে দুটো বিষয় রয়েছে। একটি হলো, কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। দুই, সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করতে হবে। এই দুটো যখন একজন মানুষের মধ্যে থাকবে, তখন তিনি কোনো অস্থিরতায় ভুগবেন না এবং দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

২. লক্ষ্য স্থির করা
জীবনে কাজের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। তাহলে নিজেকে শান্ত রাখা যাবে।

৩. ব্যর্থতা মেনে নেওয়া
ব্যর্থতা জীবনের অংশ। এটি মেনে নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। ভাবতে হবে, সফলতার একটি ধাপ ব্যর্থতা। পরাজয় হলেও সেটি থেকে কীভাবে উঠে দাঁড়াতে হবে, সেটি শিখতে হবে।

৪. পরিবারকে সময় দেওয়া
আমরা অনেক সময় ক্যারিয়ার, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এগুলোর দিকে তাকাতে গিয়ে পরিবার ও সমাজকে সময় দিতে পারি না; আনন্দ উপভোগ করতে পারি না। এটা অনেক সময় আত্মঘাতী হয়ে যায়। কিন্তু এটি না করে পরিবার ও নিজের কাছের মানুষদের সময় দিতে হবে। এটি উদ্বেগ কমিয়ে মনকে শান্ত রাখতে কাজে দেবে।

৫. শরীরের যত্ন নিতে হবে
মনকে শান্ত রাখতে কিন্তু শরীরের যত্ন নিতে হবে। নিয়মানুবর্তী জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে। রাতে জেগে থাকা, দিনে ঘুমানো এ ধরনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।

৬. সক্ষমতার জায়গা খুঁজে বের করা
ব্যক্তিগত জীবন বা কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিজের সক্ষমতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আগে থেকেও ভাবতে হবে, বিপদে পড়লে কী করব। কোথা থেকে সাহায্য পাব? কোন সাহায্যটা সবার আগে নেব?

৭. ধ্যান করা
মনকে শান্ত রাখার একটি কৌশল হতে পারে ধ্যান। ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, প্রকৃতির কাছে যাওয়া ইত্যাদি মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleঅন্ধকারের ভয়: একলোফোবিয়া
Next articleমৃত্যু অনিবার্য: আমরা কি প্রস্তুত?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here