“আমি আমার শেষ দেখতে পাচ্ছিলাম; ভেবেছিলাম মরে যাচ্ছি, কোনোদিন আর জাগব না,” কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে ফেরার ‘অভাবনীয়’ অভিজ্ঞতা এভাবেই বর্ণনা করেছেন বেলজিয়ামের এক চিকিৎসক।
তিন সপ্তাহ কোমায় থাকার পর ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট থেকে বের করে আনা হয় এই ইউরোলোজিস্টকে। হাসপাতালের রুমে বসেই তিনি শোনান মৃত্যুমুখ থেকে ফেরার কাহিনী।
৫৮ বছর বয়সী চিকিৎসক অ্যান্তয়িন সাসিন কাজ করেন ওই হাসপাতালেই। সেখানে তিনি এবং তার টিমের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়েছিল।
সাসিনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাসিনের কথায়, বেঁচে ফেরার প্রচণ্ড ইচ্ছাই তাকে আবার জাগিয়ে তুলেছে।
গত মঙ্গলবার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিউট থেকে বের করে আনার পরই সাসিন এ অভিজ্ঞতা ‘অভাবনীয়’ উল্লেখ করে বলেন, কোমায় থাকা অবস্থায় তিনি ৪ বছর আগে মারা যাওয়া তার বাবাকে দেখতে পেয়েছেন। বাবার সঙ্গে কথাও বলেছেন।
তবে তিনি বলেন, “আমার সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছে যখন আমি জেগে উঠে আমার বন্ধুদের মুখ দেখতে পেয়েছি। এটা আসলেই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”
এখন পরিবারের সবাইকে কাছে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন সাসিন। রোগ ধরা পড়ার পর থেকে তাদের কাউকে এতদিন দেখেননি তিনি।
বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪৯৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৫ হাজার ৬৮৩ জন।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্মীরা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন।
বিশ্বের অনেক দেশেই বহু চিকিৎসক এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন। সেদিক থেকে বেলজিয়ামের এই চিকিৎসকের বেঁচে ফেরা এক হার না মানা কাহিনী।