বৈবাহিক সম্পর্ককে আরও প্রাণোচ্ছল করতে এবং বিচ্ছেদের মতো নেতিবাচক বিষয়গুলি এড়াতে অবলম্বন করুন কিছু সহজ কৌশল।
প্রাণোচ্ছল এবং সহনশীল বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পর্কের উপর আসা যে কোন ধরণের সমস্যাকেই জয় করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। যেকোন ধরণের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা অতিক্রম করে এ ধরণের সম্পর্ক আজীবন টিকে থাকে এবং বিচ্ছেদের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। বৈবাহিক সম্পর্ক সব সময়ই যে সহজ ভাবে এগিয়ে চলে তা নয়। বৈবাহিক জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসে, দুঃখ ও হতাশার মুহূর্ত আসে, ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়া, অপ্রাপ্তি এবং ভুলের ফলে দম্পতীদের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু সম্পর্ক যদি দৃঢ় এবং সহনশীল হয় তাহলে এসব সমস্যা তারা একসাথে মিলিত ভাবে মোকাবেলা করতে পারে। অনেক সম্পর্কই এ ধরণের দাম্পত্য জীবন বজায় রাখতে না পারায় বিচ্ছেদের মাঝে সমাপ্তি টানে। কিন্তু এটি কখনোই কারও কাম্য নয়। তাই কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে সম্পর্ককে আরও সহনশীল এবং প্রাণোচ্ছল করে তোলার মাধ্যমে বিচ্ছেদের মতো চরম পরিণতি থেকে রক্ষার প্রয়াস আমাদের সবারই করা উচিৎ। নিচে এ ধরণের কিছু কৌশল তুলে ধরা হল।
মানসিক অসন্তোষ মনের মাঝে চেপে রাখা থেকে বিরত থাকুন
অনেক সময়ই দেখা যায় ভালো না লাগা এবং মনঃকষ্ট মনের মাঝে জমতে জমতে পাহাড় সমান হয়ে যায়। তখন সেগুলি চেপে রাখা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে যায় এবং এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কের উপর পড়ে। তাই খারাপ লাগা এবং মানসিক অসন্তোষের বিষয়গুলি মনের মাঝে চেপে না রেখে সেগুলি নিয়ে সঙ্গীর সাথে আলোচনা করুন। এতে করে সম্পর্ক আরও দৃঢ় এবং আনন্দপূর্ণ হবে।
দায়িত্ব থেকে কখনো বিমুখ হবেন না
যে কোন সমস্যায় সঙ্গীকে সম্পূর্ণ সাপোর্ট দিন এবং দায়িত্ব বিমুখ মনোভাব প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আপনার সঙ্গীর আপনার প্রতি আস্থা এবং ভরসা তৈরি হবে যা একটি সুখী ও সুন্দর সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সঙ্গীর কাছে আপনার প্রত্যাশা গুলি তুলে ধরুন
আপনি আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে কী কী আশা করেন বা আপনার মন ঠিক কী চাইছে সেটি অবশ্যই সঙ্গীর কাছে তুলে ধরুন। না বলা কথা অধিকাংশ সময়ই সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টির মূল কারণ হয়ে ওঠে।
সঙ্গীর ইতিবাচক দিক গুলির প্রশংসা এবং নেতিবাচক দিক গুলির গঠনমূলক সমালোচনা করুন
সঙ্গীর দোষ এবং গুণ উভয় দিকেই সমান দৃষ্টি রাখুন। সঙ্গীর ভালো দিক গুলোর প্রশংসা করুন। তাছাড়া তার খারাপ দিক গুলোকে শুধরে দেবার প্রয়াসে এমন কোন আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন যেন সে অপমানিত বোধ না করে।
নিজের গুরুত্ব এবং সঙ্গীর গুরুত্ব উভয়ই বজায় রাখুন
সঙ্গীকে গুরুত্ব দেবার পাশাপাশি নিজেকেও গুরুত্ব দিন। দুজনের গুরুত্বের সামাঞ্জস্য বজায় থাকলে সম্পর্কে মানসিক অসন্তোষের কারণে সমস্যা কম সৃষ্টি হয়।
সম্পর্কে সময় দিন
সব ধরণের ব্যস্ততার মাঝেও সঙ্গীকে যতটা পারা যায় সময় দিন। সম্পর্কের প্রতি আরও যত্নশীল হন। তাহলে সম্পর্ক কখনোই বিচ্ছেদের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে না।
ভালোবাসাপূর্ণ এবং ক্ষমাশীল মনোভাব বজায় রাখুন
যে কোন সমস্যায় একে অপরের প্রতি ভালোবাসাপূর্ণ এবং ক্ষমাশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন। এতে করে সম্পর্কে সৃষ্টি হওয়া ছোটখাটো সমস্যাগুলি কখনোই বড় আকার ধারণ করবেনা।
উপরের বিষয়গুলি খেয়াল রাখলে এবং অনুসরণ করলে সম্পর্কে বিচ্ছেদের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনোই ঘটবে না এবং সম্পর্ক আরও প্রাণোচ্ছল, সহনশীল এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
সাইকোলজি টুডে থেকে অনুবাদ করেছেনঃ প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে