বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) এর ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৯ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টা ৩০মিনিটে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথ এন্ড হসপিটালে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও দ্বীতিয়ার্ধে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমার্ধের বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে মানুষের আত্নহত্যার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রতিপাদ্য ছিল preventing sucide in the community and saving lives. গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মানুষ আত্নহত্যার সম্ভবনায় রয়েছে। এদের মধ্যে ৮৯% নারী।
বাংলাদেশে কিশোর-তরুণ বয়সে আত্নহত্যার প্রবণতা বেশি। তাছাড়া কিশোরী দের মাঝে আত্নহত্যার হুমকি দেয়ারও প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যা একটি উদ্বেগজনক বিষয়। আত্নহত্যার উপায় গুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে রেল লাইনে ঝাঁপ দেয়া, কীটনাশক ও ফাঁসি দিয়ে আত্নহত্যার পরিমাণ বেশি। এসব সমস্যার সমাধান ও নির্মূলের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন বক্তারা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা.মহিত কামাল বলেন, বয়সের সাথে তাল মিলিয়ে আত্নহত্যার কিছু কারণ রয়েছে। যেমন ছোট বয়সে চাওয়ার সাথে সাথে সব কিছু পাওয়ার পর হুটকরে কিছু না পাওয়া, কিশোর বয়সে প্রেম ,তরুণ বয়সে মাদকাসক্তি ইত্যাদি। এভাবে বয়সভিত্তিক ভাবে আত্নহত্যার কারণ গুলো চিন্তা করলে এটার সমাধান সহজ হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস(বিএপি) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা.মো.ওয়াজিউল আলাম চৌধুরী বলেন, সুইসাইড প্রিভেনশনের ক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ২৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী তুলে ধরা হয়। এছাড়া সাইকিয়াট্রিস্টসদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে ২৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ, তার বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করা হয়। এরপর সাধারণ সম্পাদক ডা. তারিকুল আলম তার বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন ও সংবিধানের সংশোধনী বিষয়ে প্রস্তাব রাখেন। সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাবনাগুলো সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় ও সংবিধান সংশোধনীর জন্য অনুমদিত হয়। কোষাধ্যক্ষ ডা. অভ্র দাশ ভৌমিক তার প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী তার বক্তব্যে সকল সাইকিয়াট্রিস্ট ও প্রশিক্ষণরত মানসিক চিকিতসকদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য সকলকে ধ্ন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিএপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্দুস সোবহান তার বক্তব্যে সাইকিয়াট্রির স্মৃতিচারণ করেন এবং আজকের এই ঐক্যবদ্ধ সাইকিয়াট্রি তার জীবনের স্বপ্ন ছিল বলে উল্লেখ করেন। তিনি সকল সদস্যের প্রতি সাইকিয়াট্রির অগ্রগতির যাত্রা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স খোলার ব্যাপারেও গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিএপি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী সমাপনী বক্তব্যে এনাইএমএইচ এর পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।এজিএম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। সাইকিয়াট্রিস্টদের দূর্যোগে সাহসী ও আত্নপ্রত্যয়ী ভূমিকার জন্য তিনি সকল চিকিৎসক, বিএপির সদস্য ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে