হোক বাল্যকালের বন্ধু, কিংবা ভালোবাসার মানুষ, অথবা দাম্পত্য জীবনের সঙ্গী – ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়নি এমন জুটি পাওয়া কষ্টকর। ঝগড়ার পর অনেকেই একে অপরের কাছ থেকে কিছুটা সময় দূরে একা থাকতে পছন্দ করে, কেউ কেউ এ সমস্যা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে, অনেকে দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টা টেনে নিয়ে বেড়ায়, আবার অনেকে তা নিয়ে কথা বলে। মজার ব্যাপার হলো, ঝগড়া মিটমাট করার একটি সহজ ও মধুর উপায়ের কথা জানিয়েছে এক গবেষণা। কী সেই উপায়?
সম্প্রতি পেনসিলভানিয়ার কারনেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা চার শতাধিক মানুষের সামাজিক পারস্পরিক যোগাযোগ, দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক আলিঙ্গনের সংখ্যা এবং তাদের ইতিবাচক ও নেতিবাচক মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেছেন। টানা ১৪ দিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, আলিঙ্গন তাদের মুড বা মানসিক অবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আলিঙ্গনের পর তাদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয়ে মনোমালিন্য বা ঝগড়া একেবারেই দূর হয়ে গেছে। এছাড়া, মনোমালিন্য থেকে সৃষ্ট বড় ধরনের কোনো ঝগড়া বা ঝামেলাও তৈরি হয়নি।
এ গবেষণায় তর্ক-বিতর্ক বা ঝগড়ার মাত্রা এবং নির্দিষ্ট কোনো সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়নি। আলিঙ্গন যে শুধু তার ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে হতে হবে এমনটাও নয়। যেকোনো বয়স ও লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে আলিঙ্গন একই ফলাফল বয়ে আনে বলে জানায় এ গবেষণা। যদিও গবেষণায় অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ নারীই পুরুষদের সঙ্গে আলিঙ্গনের কথা জানিয়েছেন।
সুতরাং, পরবর্তীতে বন্ধু, ভালোবাসার মানুষ, আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মা কিংবা অপরিচিত কারো সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হলে আলিঙ্গন করুন। সম্পর্ককে মজবুত করুন।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে