“বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে চাকুরীতে ঢোকার পরপরই সিমির (ছদ্মনাম) বিয়ে হয়ে যায়। ২বছরের একটি সন্তান আছে তাঁর। অন্তঃস্বত্বা হবার পরই চাকুরীটা ছেড়ে দেয়। ইদানিং সে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের কথা ভাবতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নিজের উপর বিরক্ত হচ্ছে! কারণ দিন শেষে যথাযত কোন পরিকল্পনা করতে পারছেনা। ভাবছে সংসার, স্বামী-সন্তান নিয়ে জীবনটা বেশ ভালভেবেই পার হয়ে যাচ্ছে, কি দরকার আবার নতুন কিছু খোঁজার। আবার নিজের জন্য কিছু করা হচ্ছেনা ভেবে মনেমনে স্বামী-সন্তানকে এর জন্য দোষারোপ করতেও ছাড়ছে না। আবার কোন কাজের সুযোগ পেলে কিম্বা দেশের বাইরে যেতে হবে দেখলেই থেমে যাচ্ছে। ভাবছে বাচ্চাটা কার কাছে থাকবে, কে ওকে দেখবে। তাছাড়া এত লম্বা বিরতির পর সেকি পারবে নতুন করে শুরু করতে। ভেবে কোন কূল কিনারা পায়না সিমি!”
আমরা সবসময় যা করতে চাই আসলেই কি তা করতে পারি? পরিকল্পনা করি একরকম কিন্তু বাস্তবে হয়ে যায় আরেকরকম। প্রাত্যহিক জীবনে প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির মিল না হলে সহজেই হতাশ হয়ে পরি। ভেবে নেই আমাকে দিয়ে আর ভাল কিছুই হবেনা। এমনকি অন্যের উন্নতি দেখলেও তখন আর নিজেকে সামলাতে পারিনা। এমন অনেকেই আছি, যারা মনেমনে অনেক ভাল কিছু করার পরিকল্পনা করেছি কিন্তু সেটা সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য কোন ফলপ্রসূ উদ্যোগ নিতে পারিনি। যেমন ধরুন একজন বিগত ৫/৬ বছর ধরে একই পদে কর্তব্যরত আছি, পদোন্নতি হচ্ছেনা বলে হায় হুতাশ করছি। আবার কারো পদোন্নতি হয়ে যাচ্ছে দেখে রেগে ভাবছি, ওদের মত তেলবাজি পারি না, তাই জীবনে আর ভাল কিছুই হবেনা। দিন শেষে আরও হতাশ হয়ে নিজেকে সান্তনা দিচ্ছি “আঙ্গুর ফল টক”! কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি নিজের উন্নতির জন্য আসলেই কতটুকু শ্রম ও মেধা খরচ করেছি?
মনোবিজ্ঞানী লিওন ফেস্টিংগার ১৯৫৭ সালে তাঁর “আ থিওরি অফ কগনিটিভ ডিসসনেন্স” গ্রন্থে জ্ঞানীয় অনিয়মের তত্ত্ব প্রকাশ করেছিলেন। ফেস্টিংগার বলেছিলেন যে, “ব্যক্তি যখন বিরোধমূলক বিশ্বাস রাখে বা তার কাজগুলি তার বিশ্বাসের সাথে বিরোধী হয় তখন সে অস্বস্তি অনুভব করে”।
Cognitive Dissonance /জ্ঞানীয় বিভেদ শব্দটি বেশ খটমটে শোনালেও এর মানেটা কিন্তু খুব সহজ। এটা তখন ঘটে যখন ব্যক্তি দুটি বা ততোধিক বিরোধী “বিশ্বাস”, “ধারণা” বা “মূল্যবোধ” ধারণ করে। এই তত্ত্ব অনুসারে, দুটি কাজ বা ধারণা একে অপরের সাথে মানসিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তি এগুলি পরিবর্তনের জন্য সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে। এটি এমন মানসিক দ্বন্দ্বকে বোঝায় যা ঘটে যখন ব্যক্তির আচরণ এবং বিশ্বাস সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়না। জ্ঞানীয় অসঙ্গতি সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অন্যতম প্রভাবশালী এবং গবেষণা তত্ত্ব। বৈষম্য নিরসনের অভিযানটিকে “জ্ঞানীয় ধারাবাহিকতার নীতি” বলা হয়। এই অস্বস্তি এড়াতে ব্যক্তির আচরণ, চিন্তা, সিদ্ধান্ত, বিশ্বাস, মনোভাব, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে।
জ্ঞানীয় অসন্তুষ্টির মুখোমুখি ব্যক্তি অনুভব করেঃ
১। উদ্বিগ্ন
২। দোষী
৩। লজ্জিত
ফলস্বরূপ ব্যক্তিঃ
১। তার কাজ বা বিশ্বাস অন্যের কাছ থেকে আড়াল করার চেষ্টা করে।
২। তার কাজ বা পছন্দগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্তিযুক্ত করে।
৩। নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে কথোপকথন বা বিতর্ক থেকে বিরত থাকে।
৪। তার নতুন বিশ্বাসের বিপরীতে থাকা নতুন তথ্য খোঁজে।
৫। গবেষণা, সংবাদপত্রের নিবন্ধগুলি বা চিকিৎসকের পরামর্শকে উপেক্ষা করে যা বৈষম্য সৃষ্টি করে।
উদাহরণঃ
১। তামাকের ব্যবহারের প্রতিকূল স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হওয়া সত্ত্বেও ধূমপান করা।
২। নিয়মিত অনুশীলনের মতো কোনও আচরণকে প্রচার করা, যা ব্যক্তি নিজে কখনও অনুশীলন করেন না। এই ধরণের জ্ঞানীয় বিভেদকে ভণ্ডামি বলা হয়।
৩। ব্যক্তি নিজেকে সৎ মনে করেও নিয়মিত মিথ্যা কথা বলা।
৪। পরিবেশ সচেতন হওয়া সত্ত্বেও একটি এমন গাড়ি কেনা যা জ্বালানী সাশ্রয়ী নয়।
৫। প্রাণী হত্যার চিন্তাকে অপছন্দ করা সত্ত্বেও মাংস খাওয়া।
আমরা অনেক মেধাবী এবং পরিশ্রমী হবার পরও এই অস্বস্তি বোধের কারণে সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারিনা। নিশ্চয়ই ভাবছি আসলেই তো মাঝে মাঝে আমারো এমন হয় কিন্তু কেন যে হয় সেটার কারন আর বুঝে উঠতে পারি না।
জেনে নেই কি কি কারণ থাকতে পারে এর পেছনেঃ
১। জোরপূর্বক সম্মতি
এটি এমন পরিস্থিতিকে বোঝায় যেখানে কোনও ব্যক্তি তার বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কাজ করতে বাধ্য হয়। যেমন, আমি একজন হিসাবরক্ষক হয়ে যদি বস কর্তৃক হিসাবের গড়মিল করি। আমি বিশ্বাস করি যে এটি ভুল, তবুও চাকুরী ধরে রাখতে এই কাজটি করতে বাধ্য হতে পারি।
২। সিদ্ধান্ত গ্রহণ
সিদ্ধান্তগুলি জীবনের অংশ। প্রতিদিনের জন্য কয়েকশ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। যে সমস্ত সিদ্ধান্ত দুটি বা ততোধিক বিকল্পের মধ্যে নির্বাচন করতে হয় তার প্রতিটি বিকল্পের উপায়ের কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। এই কারণেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। দুটি বিকল্প যতই আকর্ষণীয়, তত বেশি জ্ঞানীয় বিভেদ অনুভূত হয়। এই বৈষম্য হ্রাস করতে, ব্যক্তি খারাপ সিদ্ধান্তগুলোকেও সঠিক মনে করে। ধরে নেওয়া যাক আমাকে দুটি কাজের মধ্যে বেছে নিতে হবে। একটি কাজ গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত, তবে বেতন বেশ ভাল। অন্য কাজটি আমার শহরে রয়েছে তবে বেতনটি যা চেয়েছিলাম তেমন নয়। যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাকরীটি গ্রহণ করি তবে কয়েক বছরের মধ্যে আমার স্বপ্নের বাড়ি, গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ ইত্যাদির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন হবে। তবে আমাকে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি বাড়ির কাছাকাছি কাজটি নেই তবে আমার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছাকাছি থাকব কিন্তু নিজের স্বপ্নের সামর্থ হারাব। মনে রাখা প্রয়োজন যে, যখন আমরা একটি উপায় ছেড়ে দেই তার মানে সেটির সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হই।
৩। প্রচেষ্টা
মানুষের অর্জনগুলি যে পরিমাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার পর সম্পূর্ণ হয় তার উপর ভিত্তি করে অর্জনকে মূল্যায়ন করার প্রবণতা রয়েছে। যেমন একটি দামী গাড়ি কেনার জন্য যদি আমাকে ১০বছরের জন্য সঞ্চয় করতে হয় তার চেয়ে বেশি মূল্যবান হবে যদি যুবক বয়সে চার মাসের মধ্যে উপার্জন করে একই রকম দামী গাড়ি কিনতে পারি। যথেষ্ট পরিশ্রম ও অভিজ্ঞতাকে নিঃসন্দেহে উচ্চতর মূল্যায়ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আমরা যদি কেবলমাত্র একটি ছোটখাটো সাফল্য অর্জনের জন্য অসংখ্য বার চেষ্টা করি তবে আমরা অসন্তুষ্টি অনুভব করি এবং কখনও কখনও হতাশ হয়ে পরি।
৪। নতুন তথ্য প্রাপ্তি
জ্ঞানীয় অনিয়মের আরও একটি বড় কারণ এমন কোন নতুন তথ্য যা আমাদের বিশ্বাসের পরিপন্থী। আসুন ১৯৫০ এর দশক থেকে ফেস্টিংগার সংস্কৃতিবিদদের উদাহরণটি লক্ষ করি। এই দলটির ব্যক্তিরা বিশ্বাস করেছিল যে এখানে বন্যা হবে এবং একটি উড়ন্ত-যান তাদের উদ্ধারে আসবে। ২১ ডিসেম্বর সকালে, বন্যা বা উড়ন্ত-যান ছিল না। এই নতুন তথ্যটি তাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের অস্বস্তি হ্রাস করার জন্য, সংস্কৃতিবিদরা তখন নিশ্চিত করেছিলেন যে তাদের বিশ্বাসের কারণেই পৃথিবী রক্ষা পেয়েছিল এবং তারা এটি বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে একটি নতুন মিশন শুরু করেছিল। অর্থাৎ ব্যক্তি যখন কোন নতুন তথ্য পায় তা যতই যুক্তিসঙ্গত হোক যদি তার বিশ্বাসের সাথে না মিলে তখন সেটা গ্রহণ করতে চায় না।
জ্ঞানীয় বিভেদ হ্রাস করার উপায়ঃ
মানুষ হিসাবে, আমরা আমাদের বিশ্বাস এবং কাজের ধারাবাহিকতা অর্জন করতে চাই, সফল হতে চাই। কিন্তু আমাদের চিন্তার জগৎ অদৃশ্যমান এবং জটিল। অনেক বছর পর হয়ত আমরা বুঝতে পারি যে অতিতে ওই সময় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ভুল হয়েছিল। কিন্তু যখন বর্তমানে আমরা একই সাথে দুটি দ্বন্দ্বমূলক চিন্তাভাবনা করি বা বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক এমন আচরণে জড়িয়ে পরি তখন আবারও অস্বস্তি বোধ করি।
১। বিশ্বাস পরিবর্তন
এটি জ্ঞানীয় অনিয়মের সমাধানের সহজতম এবং কার্যকর উপায়। আসুন আমাদের ধূমপায়ী বন্ধুটির কথা ভাবি। বন্ধুটি সিগারেটে আসক্ত, তবুও সিগারেটের প্যাকটিতে একটি সতর্কবানী রয়েছে যে “ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর”। ধূমপান ক্ষতিকর এই বিশ্বাসকে অগ্রাহ্য করার জন্য তিনি নতুন তথ্য সন্ধান করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি তিনি দাবি করেন যে ধূমপানের কারনে কোন ক্ষতি হয়না। তখন গবেষণা থেকে ধূমপান এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের মধ্যে নির্দিষ্ট যোগসূত্র আছে, এই জাতীয় তথ্য পেলে তার এই বিশ্বাসের পরিবর্তন হতে পারে। যদিও বিশ্বাস পরিবর্তন করা সহজ উপায় নয়। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তির মৌলিক বিশ্বাসগুলি শৈশবকাল থেকেই গড়ে উঠে।
২। দ্বন্দ্বপূর্ণ আচরণের পরিবর্তন
জ্ঞানীয় অসন্তুষ্টি হ্রাস করার একটি উপায় হল একটি অসন্তুষ্ট আচরণ পরিবর্তন করা। আমাদের আরেকজন ধূমপায়ী বন্ধুর কথা ধরে নেওয়া যাক যিনি জানেন এবং বিশ্বাস করেন যে ধূমপান তার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তিনি ধূমপানের আসক্ত, সুতরাং ধূমপান ত্যাগ করা তার পক্ষে কঠিন। কারণ তার ধূমপায়ী বন্ধু, আড্ডা, ধূমপানের আনন্দ থেকে তিনি নিজেকে বঞ্চিত করতে চাইবেন না। কিন্তু ধূমপানের সুবিধা এবং ক্ষতি-র একটি লিখিত তালিকা তাকে করতে বলা হলে, সাময়িক আনন্দের জন্য প্রতিদিন তার কি কি ক্ষতি করে ফেলেছেন তা বুঝে আচরণের পরিবর্তন করতে চেষ্টা করতে পারেন। আমরা অনেক কিছুই চিন্তা করি কিন্তু যদি লিখিত ডকুমেন্ট রাখি এবং প্রতিদিন একবার তা দেখি তবে আচরণের পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই দৃঢ় মনোবল রাখতে হবে এবং বন্ধু ও পরিবার সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
৩। বিশ্বাস ও সঙ্গত আচরণ
এটি জ্ঞানীয় অনিয়ম হ্রাস করার সর্বাধিক সাধারণ পদ্ধতি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতির সাহায্যে ব্যক্তি বিরোধী বিশ্বাস বা আচরণ নির্ধারণ করে। তার দ্বন্দ্বপূর্ণ জ্ঞানকে যুক্তিযুক্ত করার একটি উপায় খুঁজে বের করে। আবার, আসুন আমাদের ধূমপায়ী বন্ধুর কথা ভাবি। তার বিশ্বাস পরিবর্তন করতে এবং ধূমপান ছেড়ে দিতে না পারার জন্য তিনি তার ধূমপানকে ন্যায়সঙ্গত করে বলতে পারেন যে, “বিশ্ব এমনিতেই স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ”। অর্থাৎ নেতিবাচক আচরণ কে মেনে নিয়েই তিনি খুশি মনে তা চালিয়ে যাবেন। বিকল্পভাবে, তিনি নিজেকে বলতে পারেন যে, “আনন্দ ছাড়া দীর্ঘ জীবন যাপন করার চেয়ে স্বাদে পূর্ণ (ধূমপান পূর্ণ) জীবনযাপন করা ভাল”। আর একটি উদাহরণ হল, একজন ব্যক্তি যিনি প্রয়োজন ছাড়াই প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে তার অর্থ নষ্ট হচ্ছে তিনি এর পক্ষে যুক্তি দেখান যে, “আমরা কেউই অর্থ সঙ্গে নিয়ে পরকালে যেতে পারব না তাই সঞ্চয় করার চেয়ে জীবন উপভোগ শ্রেয়”।
যদিও অনেকেই ভাবেন জ্ঞানীয় বিভেদ একটি খারাপ জিনিস। কিন্তু এটি আসলে আমাদের মানসিকভাবে সুস্থ এবং সুখী রাখতে সহায়তা করে। আমি যদি উচ্চ মাত্রার অসঙ্গতি নিয়ে বাঁচতে না চাই তবে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে আমাকে অবশ্যই আমার বিশ্বাস এবং আচরণের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। পাঠক হিসেবে কি মনে হয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব নিরসন সম্পূর্ণভাবে অর্জন করা আদৌ সম্ভব?
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে