চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে চালু হয়েছে স্টুডেন্ট কাওন্সেলিং সেন্টার। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হওয়া কাওন্সেলিং সেন্টার থেকে নিজেদের মানসিক সমস্যা নিয়ে চট্রগ্রাম মেডিক্যালে কলেজের শিক্ষার্থীরা সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ই-ব্লকের নীচতলায় মনোরোগবিদ্যা বিভাগের ০৩ নং ওর্য়াডে প্রতি সোমবার দুপুর ১ টা থেকে-২ টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এই সেন্টার থেকে আপতত একক এবং দলভিত্তিক মনস্তাত্ত্বিক সেবা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যা/জটিলতা সমাধানে সহায়তা করা, জরুরী সংকটকালীণ মনস্তাত্ত্বিক সেবা, আত্মহত্যা প্রতিরোধের চেষ্টা, পেশাগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে সেবা প্রদান করা হবে বলে জানান স্টুডেন্ট কাওন্সেলিং সেন্টার এর প্রধান সমন্বয়ক চট্রগ্রাম মেডিক্যালে কলেজের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা.পঞ্চানন আচার্য্য।
স্টুডেন্ট কাওন্সেলিং সেন্টার চালু প্রসঙ্গে ডা. পঞ্চানন আচার্য্য বলেন, “মেডিক্যালে পড়ার সময় থেকে বিভিন্ন সময় মানসিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতাম। বর্তমানে বিভিন্ন মেডিক্যালে ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনার পর এবং বেশ কিছু মেডিক্যাল শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসার কারণে একটা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার ইচ্ছে উঠে আসে মনে।”
ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটা নির্দিষ্ট স্থানে কিছু সময় নিয়ে আলাদাভাবে মানসিক সহায়তা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করার একান্ত ইচ্ছে থেকেই ছোট পরিসরে এই চালু করা। একটু প্রতিষ্ঠিত হলে এবং নিকট ভবিষ্যতে আরো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ এখানে পদায়িত হলে এটাকে বড় পরিসরে এবং আরো কার্যকরীভাবে চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডা. পঞ্চানন আচার্য্য।
কাওন্সেলিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার পেছনে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মনোরোগবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক ডাঃ সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এবং মনোরোগবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন শিকদার এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।