[vc_row][vc_column][vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”black” css=”.vc_custom_1610344537049{border-radius: 35px !important;}”]আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা,দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আমাদের আজকের প্রশ্ন পাঠিয়েছেন – ফাহমিদা রহমান (ছদ্মনাম)-[/vc_message][/vc_column][/vc_row][vc_row][vc_column][vc_message message_box_style=”solid” style=”square” message_box_color=”sky” icon_fontawesome=”fas fa-question” css=”.vc_custom_1610344565090{border-radius: 35px !important;}”]আমার বাচ্চারা ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত “নাট বল্টু” নামক কার্টুন খুব পছন্দ করে। ওদের পছন্দের পাল্লাই পড়ে আমিও ইউটিউবে নিয়মিত এই কার্টুন দেখি। এটাতে কিছু নেগেটিভ বাচ্চা চরিত্র আছে যারা প্রতি পর্বেই অন্য বাচ্চাদের সাথে মারামারি, খাবার চুরি করে খাওয়া, খাবার কেড়ে খাওয়া, মিথ্যা কথা বলা- এসব করে। যেসব শিশুরা এটি দেখছে এই নেগেটিভ চরিত্র দ্বারা তাদের প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? আর বাচ্চাদেরকে কার্টুন দেখা থেকে বিরত রাখার জন্য কি করা যেতে পারে?[/vc_message][vc_message style=”square” message_box_color=”white” icon_fontawesome=”fas fa-envelope-open-text” css=”.vc_custom_1610344747221{border-radius: 35px !important;}”]আপনাকে ধন্যবাদ এই প্রশ্নটি তোলার জন্য। হ্যাঁ, অবশ্যই এটি উদ্বেগজনক। নেগেটিভ পজেটিভ যে চরিত্রই হোক, বাচ্চাদের উপর তার প্রভাব পরে। বাচ্চা বা শিশুরা শেখে দেখে, শুনে এবং করে। তারা অনেক সময় বাস্তবতা আর কল্পনার চরিত্রকে আলাদা করতে পারেনা। তারা যা দেখে তাকেই সত্যি মনে করে এবং যেভাবে দেখে সেভাবেই কাজ করতে চায়। শিশুরা অজান্তেই নিজের ভিতর কিছু রোল মডেল তৈরি করে। তারা সেই রোল মডেলের মতো করে সবকিছু করতে চায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন তাদের প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর।
কার্টুন দেখা থেকে বিরত রাখার কথাটা তখনই আসে, যখন তারা সেটাতে আসক্ত হয়ে যায়। বারবার দেখতে চায়। তাহলে-
- তাদেরকে কার্টুন দেখার বিষয়ে সময়সীমা বেধে দিতে পারেন।
- প্রয়োজনে বাবা-মা, কেউ একজন সাথে বসে দেখতে পারেন। যখন সময় শেষ সাথে সাথে যেন দেখা বন্ধ করে সেভাবে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন।
- একই সমস্যা নিয়ে অন্য পরিবারের সাথে বা অন্য মা-বাবা’র সাথে আলাপ করতে পারেন। তারপর কয়েকজন বাবা-মা একসাথে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কাজটা করার জন্য। তাতে করে একজন আরেকজনের সাথে একটা পজিটিভ প্রতিযোগিতা হতে পারে।
- ইন্টারনেট ব্যবহার নিজেরাও কমিয়ে দিতে পারেন।
- মাঠের বা বাইরের খেলায় আগ্রহ তৈরী করতে পারেন।
এসবে কাজ না হলে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার সুবিধার জন্য ইন্টারনেট এডিকশনের লিংক দেয়া হলো-https://monerkhabor.com/featured/2015/08/20/2061/%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%9f-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%a8-%e0%a6%b9/[/vc_message][/vc_column][/vc_row][vc_row css=”.vc_custom_1604948923798{padding-top: 30px !important;padding-right: 0px !important;padding-left: 0px !important;background-color: #ffffff !important;border-radius: 35px !important;}”][vc_column width=”1/4″ css=”.vc_custom_1604948985564{margin-right: 0px !important;padding-right: 0px !important;border-radius: 20px !important;}”][vc_single_image image=”31432″ img_size=”full” alignment=”right” css=”.vc_custom_1604948786892{border-radius: 20px !important;}”][/vc_column][vc_column width=”3/4″][vc_column_text]
ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর। চেম্বার তথ্য – ক্লিক করুন[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]