কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়েই এমন অবস্থার মতবিরোধের সম্মুখীন হতে হয়। এমন সময়ে স্বার্থরক্ষা খুব জরুরী হয়ে যায়।
দু’জন ব্যাক্তি বা দুটো দল যখন নিজেদের মত প্রতিষ্ঠায় স্বার্থান্বেষী হয়ে ওঠে, তখন এই সমস্যার আশু সমাধান করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলে কর্মক্ষেত্রের এই জটিলতার ফলপ্রসূ সমাধান করা যায়।
১) দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্থাপনঃ সাধারণভাবে এটাই ভেবে নেওয়া হয় যে কোন বিষয়ে কারও সাথে মতবিরোধ বা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে এর সমাধানে একজন জিতবে এবং অপরজন হারবে। একজনের মত প্রতিষ্ঠিত হবে, অপর জনের মত নিগৃহীত হবে। কিন্তু আমরা এভাবে কখনো ভেবে দেখিনা যে এ সময়ে দু’ পক্ষের মত ও রক্ষা করা যেতে পারে। এজন্য উভয়ের মাঝে সমঝোতা করা প্রয়োজন। এতে করে উভয় পক্ষের মনেই জয়ের তৃপ্তি থাকবে।
২) সহমর্মিতাঃ হয়তো এর আগে আপনার এমন কোন তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে যা আপনার মনকে বিষিয়ে তুলেছে এবং এ কারণে আপনি কাউকেই আর ছাড় দিতে প্রস্তুত নন। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে কখনোই একক সিদ্ধান্ত কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাই সব সময় উদার হতে চেষ্টা করুন এবং ক্ষমাশীল দৃষ্টিভঙ্গির চর্চা করুন। এতে সহজেই দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ এড়ানো যাবে।
৩) সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিনঃ সব সময় বিরোধী মানসিকতা প্রদর্শন করা মোটেও উচিত নয়। যে কোন বিষয়ে নিজের মত প্রকাশের সময় আপনার সিদ্ধান্তের পেছনে যথাযথ যুক্তি আছে কিনা সেটি আগে বিচার করুন। সব সময় বিরোধ না করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন সময় অন্যের মতামতকেও সমর্থন করতে হয়।
৪) সতর্ক থাকুনঃ যে কোন বিষয়ে আপস করার পূর্বে অত্যন্ত সতর্ক থাকুন। সব সময়ে আপস করার মানসিকতা প্রদর্শন করলে বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শুধুমাত্র যখন সমঝোতা বা অন্য কোন উপায়ে মতবিরোধ এড়ানো সম্ভব নয়, তখনই আপস করুন।
৫) নিজেকে প্রস্তুত রাখুনঃ যে কোন কাজে নামার আগে সেই কাজ করার পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করুন। কর্মক্ষেত্রে মতের অমিল খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাই অন্যের মতের বিপরীতে নিজের মত প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে আগে নিজেকে প্রস্তুত করুন। আপনার মতের পেছন যথেষ্ট যুক্তি আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই মতামত ব্যক্ত করুন। নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত রাখুন।
৬) নীতি নির্ধারণঃ আনুষ্ঠানিক কোন মতবিনিময় সভা আয়োজনের সময় খুবই সতর্ক থাকুন এবং সতর্কতামূলক কিছু নীতি নির্ধারণ করুন। কারণ যে কোন মতবিনিময় সভায় মতের অমিল থাকার জন্য অনেক বড় ধরণের গোলযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই কিছু নীতি নির্ধারণ করে এই বিরোধের মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। যেমন, কথা বলার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ, ভোট প্রদানের ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি। এতে করে অনেক ক্ষেত্রেই মতবিরধের ফলে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব সংঘাত এড়িয়ে যাওয়া যাবে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে