একাকী জীবন যাপন করা রোগীরা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে বেশি।
সুইডেনের পশ্চিমাঞ্চলে ১০৯০টি স্ট্রোকের ঘটনা পর্যালোচনা করে গবেষকরা এ তথ্য জানান।
গথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ এবং গবেষক পেট্রা রেডফরস বলেন, “এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যারা একাকী জীবন যাপন করে তারা খুব বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলে না, সময় মত ওষুধ খায় না এবং হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক বেশি সময় নেয়।”
রেডফরস তার গবেষণায় দেখতে পান, ৩৬ শতাংশ রোগী যারা একা বাস করেন তারা স্ট্রোক করার পর ১২ বছরের মধ্যে মারা যান। যেখানে সঙ্গীদের সাথে বসবাস করা রোগীদের ক্ষেত্রে এই হার ১৭ শতাংশ।
শুধু পুরুষদের বিবেচনা করলে এ হার যথাক্রমে ৪৪ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ।
একাকী বাস করা ব্যক্তিরা শারীরিক পরিশ্রম কম করে, অতিরক্ত মদ্যপান করে, শিক্ষার হার কমসহ তাদের আরও বেশ কিছু বদভ্যাস থাকে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, স্ট্রোকের পর সাত বছরের মধ্যেই এসব রোগী স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা ও বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
যেহেতু কর্মক্ষম বয়সে অনেকেরই স্ট্রোক হয় তাই এটি তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
এ কারণে একাকী বাস করা রোগীদের প্রতি আরো সচেতন হতে হবে এবং তাদের আরও বেশি সমর্থন দিতে হবে বলে মনে করেন রেডফরস।