“প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকা” বিষয়টি খুব আবেগী। কারও কাছে এটা খুবই স্পর্শকাতর আবার কেউবা তার প্রাক্তন বন্ধুর কথা মনে করে রেগে আগুন হয়ে যায়। কেউবা আবার প্রাক্তন সম্পর্ককে বর্তমান সম্পর্কের জন্য হুমকি মনে করেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষেরা তাদের প্রাক্তন সঙ্গীকে নিয়ে যতটা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, নারীরা ততোটা ঠিক ততোটা করেন না।
অস্ট্রিয়ার গ্রেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল ৯০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যে একটি জরিপ চালায়। তাদের প্রত্যেকেই কমপক্ষে চারমাস ধরে একটি সম্পর্কে আছেন এবং চারমাসের জন্য অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
গবেষণায় অবাক করার মতো কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে- “দেখা গেছে নারীরা তাদের আগের সম্পর্ককে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে চেয়েছিলেন এবং সেখানে সঙ্গীর ভালোবাসার ঘাটতির প্রাধান্য দেখা গেছে। অন্যদিকে পুরুষরা সম্পর্ককে এক ধরনের ছেলেখেলা মনে করেন এবং মনের মিলের চেয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রতি বেশি জোর দেন।”
সোজা কথায় বলতে গেলে, দীর্ঘস্থায়ী না হলে নারীরা তাদের আগের সম্পর্ককে সময়ের অপচয় মনে করে। কিন্তু পুরুষদের তাদের আগের সম্পর্ক নিয়ে ততোটা চিন্তিত দেখা যায়নি। তারা মনে করেন, এখন যেহেতু সম্পর্ক নেই তাই সেখানে আর কোনো প্রাপ্তির আশাও নেই।
বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, মেয়েরা তাদের বিচ্ছেদের জন্য প্রাক্তন প্রেমিককে দায়ী করেন। এমনকি তারা ছেলে সঙ্গীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগও আনেন। কিন্তু ছেলেদের কাছে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ জানতে চাইলে তারা অনেকেই সঠিক কোনো কারণ বলতে পারেন না।
নারীরা একটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সঙ্গী খোঁজেন এবং বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাদের প্রাক্তন প্রেমিক ভালো ছিল না। কিন্তু ছেলেরা মনে করে না যে, তার প্রাক্তন মেয়ে বন্ধু তাদের যোগ্য ছিল না। অর্থাৎ পুরুষেরা তাদের প্রাক্তন বন্ধুদের প্রতি সম্মান বজায় রাখে।
সম্পর্কের স্থায়ীত্ব দিনে দিনে কমে আসছে। এর একটি কারণ হলো নারীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হচ্ছে। ফলে তারা আর সামান্য মতভেদ নিয়েও সঙ্গীর সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করছে না।