ডা. ফয়সাল রাহাত
ফেইজ বি রেসিডেন্ট, এমডি (সাইকিয়াট্রি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ
ভুলে যাওয়া মানুষের স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু এই ভুলে যাওয়া যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় কিংবা দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান ব্যাহত হয়, তবে সেটিকে আর স্বাভাবিক বলা যায় না। ভুলে যাওয়ার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে, যেমন-স্ট্রোক, মাথায় আঘাত, মস্তিষ্কের টিউমার কিংবা প্রদাহ, মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ, থাইরয়েডের সমস্যা, অ্যালকোহল ও অন্যান্য মাদকের প্রভাব, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অপর্যাপ্ত ঘুম, ভিটামিনের অভাব, শরীরে লবণের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন মানসিক রোগেও ভুলে যাওয়ার সমস্যা খুবই কমন একটি ঘটনা।
বর্তমানে স্মার্টফোন ছাড়া যেন একটি দিনও কল্পনা করা যায় না। দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আমরা স্মার্টফোনের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ভুলে যাওয়ার পেছনে উপর্যুক্ত কারণগুলো ছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারকে দায়ী করা হয়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভুলে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে স্মার্টফোনের অতিব্যবহারের যথেষ্ট প্রভাব আছে বলে ধারণা করা হয়।
স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কি সত্যিই ভুলে যাওয়া সমস্যার জন্য দায়ী? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে ভারতের তামিলনাডুতে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ২০২২ সালে পরিচালিত এ গবেষণায় ১৮-৩৫ বছর বয়সিদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। Purposive Sampling পদ্ধতিতে মোট ২০০ জন ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়, যাদের মধ্যে ৯৯ জন পুরুষ ও ১০১ জন নারী ছিলেন। স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নির্ণয় করতে Smartphone Addiction Scale এবং ভুলে যাওয়ার সমস্যা নির্ণয় করতে Cognitive Failure Questionnaire ব্যবহার করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, ২০০ জনের মধ্যে ১১০ জন মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারে অভ্যন্ত ছিলেন এবং তাদের মধ্যে গড়ে ১৪.৮২ জন ভুলে যাওয়া সমস্যায় ভুগছিলেন। পরবর্তী ধাপে Pearson Product Moment Correlation টেস্ট করে দেখা যায়, মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার ভুলে যাওয়া সমস্যার সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে সম্পর্কিত!
অতএব বলা যায়, স্মার্টফোনের অতিব্যবহার মস্তিষ্ক ও মেমোরিকে আনস্মার্ট করে দিচ্ছে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়, www স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারও এর ব্যতিক্রম নয়। নতুন-স্মার্ট প্রজন্মের স্মৃতিশক্তিকে স্মার্ট রাখতে হলে এ ব্যাপারে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
- এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন-Prof. Dr. Shalahuddin Qusar Biplob
- চেম্বার – MK4C -মনের খবর ফর কেয়ার
মগবাজার রেইল গেইট।
নাভানা বারেক কারমেলা, লিফটের ৩,
(ইনসাফ কারাকাহ হাসপাতালের বিপরীতে)।
চেম্বার সিরিয়াল – ০১৮৫৮৭২৭০৩০ - আরো পড়ুন- ডিভাইসের অপব্যবহার মানসিক রোগের কারণ?