বাবা-মার শৈশবের মানসিকাঘাত প্রভাবিত করে সন্তানকে

বাবা-মা সন্তানের সবচেয়ে বড় সঙ্গী। কিন্তু, তাদের শৈশবের মানসিক আঘাত সন্তানের জন্য একটি বড় সমস্যা। অনেক বাবা-মার শৈশবে মারাত্মক মানসিক চাপের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর যে সকল বাবা-মা এমন অবস্থার মধ্যে ছিলেন তাদের আচরণগত সমস্যাগুলোর সঙ্গে বাচ্চাদের আচরণে মিল থাকার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে মার্কিন এক গবেষণায়।
প্রতিকূল শৈশব অভিজ্ঞতাগুলো হচ্ছে বাবা-মায়ের তালাক, মানসিক অসুস্থতা, যৌন ও শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন। এই শৈশব অভিজ্ঞতাগুলোই মারাত্নক চাপ হিসেবে গবেষণায় উঠে এসছে। এগুলোই মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণ। যে সকল অভিভাবকরা এই সমস্যার সম্মুখিন হন তাদের সন্তাদের মাঝে এটি ছড়িয়ে যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
বর্তমান এক গবেষণায় ২৫২৯ জন শিশুদের উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, বাবা-মায়ের বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল শৈশব অভিজ্ঞতার মানসিক ও আচরণগত সমস্যা বা মনোযোগের বিষয়গুলো কত সহজে বাচ্চারা আয়ত্ব করেছে। সেই গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, এই সব অভিজ্ঞতার সম্মুখিন বাবা-মায়ের সন্তানদের ৪৪ শতাংশ বেশি আবেগাপ্লুত হয় ও ৫৬ শতাংশ মানসিক বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে।
আপনার শিশুটি যেন অন্তত আপনার শৈশব অভিজ্ঞতার আচরণ দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের নেতিবাচক অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হোন।

Previous articleপ্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাবের শিকার শিশুরা
Next articleবিইসিপিএস এর প্রথম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here