ডিমেনশিয়ার গবেষণায় গেইম!!!!
ডিমেনশিয়া গবেষকরা একটি নতুন গেইমের উদ্ভাবন করেছেন যা এই রোগ নির্ণয়ের পুরোনো পদ্ধতিকে নিয়ে যেতে পারে নতুন মাত্রায়।
খেলোয়াররা যেভাবে “সি হিরো কোয়েস্ট” এর 3D লেভেল গুলো খেলে তা গোপনে লক্ষ করা হয়েছিল এবং গবেষক দের কাছে পাঠানো হয়েছিল। মানুষ কিভাবে 3D পরিবেশে নিজেকে পরিচালনা করে সেটা বুঝতে পারাটা জরুরি কারণ এই দক্ষতাটাই মাঝে মাঝে ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য প্রথম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গবেষকরা বলেন এই গেইমটি নজীরবিহীন তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করতে পারে। আলযেইমার’স রিসার্চ, লন্ডন এর প্রধান নির্বাহী হিলারি এভান্স বলেন, “আমরা আগে কখনোই কোন বিষয়কে এভাবে ডিমেনশিয়া গবেষণার উপর প্রভাব ফেলতে দেখি নি”
তিনি আরো বলেন, “৬০০ স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে সবচেয়ে বড় গুরত্বপুর্ণ এই পরিচালনাটি করা হয় এবং গবেষকদের এ ধরণের তথ্যাদির উপর প্রবেশাধিকার দিয়ে দেয়া হয়েছে। এত কম সময়ে এই ধরণের আবিষ্কার ডীমেনশিয়া গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন মাত্রা যোগ করবে”।
ডাচেস টেলিকমের সহায়তায় এই ফ্রি গেইমটি চ্যারিটির মাধ্যমে উন্নয়ন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ লন্ডন এবং ইস্ট এঞ্জেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
খেলোয়াররা তাদের বাবার কিছু স্মৃতি মনে করার জন্য এবং কিছু সামুদ্রিক প্রানীদের যুদ্ধ দেখার জন্য নাবিকদের একটি কোয়েস্ট লক্ষ করে।
যে রাস্তাটা খেলোয়াররা গ্রহণ করবে তার মাধ্যমে গবেষকরা বুঝতে পারবেন কিভাবে তারা 3D পরিবেশে নিজেকে পরিচালনা করে।
এই গবেষণার মুল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে ডিমেনশিয়ার জন্য নতুন ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা তৈরী করা যার মাধ্যমে বুঝা যাবে কারোর স্পেস সংক্রান্ত দক্ষতা কমে যাচ্ছে কিনা।
ইউসিএল এর গবেষকরা বলেছেন এই গেইমটি ল্যাবে পরীক্ষিত তথ্যের চেয়ে ১৫০ গুণ বেশি দ্রুত তথ্য দিয়ে থাকে।
ইউসিএল এর ড. হুগো স্পাইয়ারস বিবিসি কে বলেন, “ আমার রিসার্চ দলে আমি এক বছরে শুধুমাত্র ২০০ মানুষের পরীক্ষা করতে পারি এবং তা দিয়ে কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু গতরাতে এই গেইমটির মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যে আমি ২০০ মানুষের পরীক্ষা করেছি”।
খেলোয়াররা এখানে তাদের লিঙ্গ, বয়স এবং স্থান দিতে পারেন এমনকি কোন তথ্য না দিয়েও অংশগ্রহণ করতে পারেন।
ড. স্পাইয়ারস বলেন, “এই প্রজেক্টটি সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির কত হাজার মানুষ প্রতিদিন স্পেস পরিচালনা করে তা সম্পর্কে নজীরবিহীন তথ্য দিয়ে পড়শুনা করার সুযোগ দেয়। এটি একটি বৃহত অনলাইন বিজ্ঞান্সম্মত পরীক্ষা যা আমাদের কোন বিষয়টি সাধারণ এই গেইমটির মাধ্যমে জানতে সাহায্য করবে। যদি আমরা এই তথ্য গুলোকে একসাথে করি তাহলে আমরা বুঝতে পারব কিভাবে ডিমেনশিয়া পরিবর্তিত হয় এবং জনসংখ্যাতাত্ত্বিক অন্যান্য কারণ গুলো কিভাবে কাজ করে”।
তিনি আরো বলেন, “যদি তুমি তোমার স্মৃতি নিয়ে অথবা তোমার শরীরের যেকোন পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাক তবে তুমি তোমার জিপি’র সাথে কথা বল”।
গবেষকরা তাদের তথ্যের প্রথম পরীক্ষার ফলাফল নভেম্বরে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছেন।
তথ্যসূত্র- বিবিসি
(http://www.bbc.com/news/technology-36203674)
রুবাইয়াত মুরসালিন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম