ক্যালিফোর্নিয়ার ইউটাহ-তে মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় পুলিশ প্রশিক্ষণ

ক্যালিফোর্নিয়ার ইউটাহ পার্ক সিটি তে ভ্যালি বিহেভিয়ারাল হেলথ এবং পার্ক সিটি পুলিশ বিভাগ একত্রিত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা ভাবছে। দ্যা ক্রাইসিস ইন্টারভেনশন টিম (সিআইটি) এর প্রশিক্ষণ পুলিশদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটপূর্ণ অবস্থায় কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে এবং কি কি সরঞ্জাম থাকা দরকার তা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
পার্ক সিটি পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা মাইকেল আরকিবেক বলেন, “আপনারা ভাবছেন এই প্রশিক্ষণ আমাদের জন্য নিয়মিত কাজ কিন্তু আসলে তা নয়। আমাদের প্রতিদিন এমন নিত্যনতুন বিষয়ের সামনে পড়তে হয় যা আমরা আগে মোকাবিলা করি নি”। এই জন্যই পুলিশ বিভাগ ভ্যালী বিহেভিয়ারাল হেলথ এর সাথে একত্রিত হয়ে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
ভ্যালি বিহেবিয়ারাল হেলথ এর পরিচালক ডডি উইলসন বলেন, “যে কোন মানসিক কার্যকলাপ কোন আসক্ত ব্যক্তি যিনি মাদকের সাথে জড়িত বা কোন ধরণের চিকিৎসা নিচ্ছেন তার কাছে একই রকম মনে হতে পারে। হতে পারে এটি ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করা কোন ঔষধ”। তিনি বলেন তারা পুলিশদের এমনভাবে তৈরি করতে চান যেন তারা নানা ধরণের সমস্যা একসাথে মোকাবিলা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “কেইস যাই হোক না কেন আমরা ঘটনার প্রত্যেকটা অংশ খুটে দেখতে চাই যেন পুলিশ জানতে পারে কি হচ্ছে বা যা হচ্ছে তার ফলাফল কি হতে পারে। যদি আমরা দেখি মানুষ নিরাপদ না তাহলে আমরা অবশ্যই তাকে রায়ে নিব। তবে এর আগে আমাদের বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখতে হবে”।
যদি কারোর পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার থাকে অথবা তার আত্মহত্যা অথবা নিজের যেকোনো ক্ষতি করার প্রবণতা থাকে তবে তার সাথে কি ধরণের আচার আচরণ হবে তা সম্পর্কে প্রশিক্ষণে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরকিবেক বলেন, “আমরা আশা করি এই প্রশিক্ষণ আমাদের কর্মকর্তাদের যারা সংকটে আছে তাদের সাথে কীভাবে কথা বলতে হবে তাদের ডাকে কীভাবে সাড়া দিতে হবে সে শিক্ষা প্রদান করবে এবং যে ব্যক্তি সংকটে আছে তার কি ধরণের সহায়তা দরকার তা খুঁজে দিবে। যদি আমাদের সাথে কথা বলা তাদের সাহায্য করে অথবা তাদের যদি জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য লাগে অথবা যদি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের কর্মকর্তা রা তাদের সব ভাবে সাহায্য করবে”।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যেসব কর্মকর্তারা সিআইটি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা কোন মানসিক রোগী যদি সে অপরাধী হয় তবে তাকে রায়ে নেয়ার চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে পাঠিয়ে থাকে।
আরকিবেক বলেন, “আমরা এই জিনিশটাই খুঁজছি কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকার খুঁজে বের করা যায়। এবং এজন্যই আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কেন্দ্রের সাথে একত্রিত হয়ে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি”।
উইলসন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের যে সেবা প্রয়োজন তাকে সে সেবা প্রদান করা সাথে আমদের সম্প্রদায়কে নিরাপদ রাখতে হবে। আমরা আশা করছি যে আমরা অনেককেই তাদের সমস্যা সাড়াতে সাহায্য করতে পারব। যদি তাদের জেলে পাঠানোর পরিবর্তে সেবা কেন্দ্রে পাঠানো যায় তাহলে হয়ত তাদের অবস্থার উন্নতি হবে”।
তথ্যসূত্র-
(http://fox13now.com/2017/05/14/park-city-police-undergo-mental-health-crisis-training/)
কাজী কামরুন নাহার, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম
 

Previous articleবিএপি-এর নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
Next articleট্রাইকোটিলোম্যানিয়া বা চুল তোলা রোগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here