আজ ‘লেটস লাফ ডে বা আসুন হাসি’ দিবস। প্রতিবছর ১৯ মার্চ নানা আয়োজনে আমেরিকায় দিবসটি পালিত হয়। প্রবাদ আছে, ‘আপনি হাসলে বিশ্ব আপনার সাথে হাসে।’ সাধারণ কাজটি কিন্তু আপনার মানসিক সুস্থতার উপরও অনস্বীকার্য প্রভাব ফেলে। এই ব্যস্ত জীবনে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করে ফেলি আমাদের নিজেদেরকেই। অথচ সুস্বাস্থ্যের জন্য নিজের উপর যত্নের বিকল্প নেই। নানা ধরনের স্ট্রেসের মধ্যেও আপনাকে ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করবে নির্মল হাসি।
বিজ্ঞান বলছে আপনি যখন হাসেন, এটি কেবল আপনার মনই ভালো করে না বরং আপনার চারপাশের মানুষকেও প্রভাবিত করে। স্বতঃস্ফূর্ত হাসি মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন, সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো রাসায়নিকের নিঃসরণ বাড়ায়। এই রাসায়নিকগুলো প্রাকৃতিকভাবে আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রেস কমায়।
মনে করুন যে একটি রুমে আপনি হাঁটছেন এবং কেউ হাসিমুখে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মন আনন্দে ভরিয়ে তুলবে। একইভাবে, যখন আপনি হাসিমুখে থাকবেন তখন এটি মানসিকভাবে আপনাকে আনন্দিত রাখবে। কার্যকরভাবে নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে দূর করতে সাহায্য করে নির্মল হাসি।
গবেষণা বলছে, হাসি রক্তচাপ কমাতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এমনকি আপনার আয়ু বাড়িয়ে দিতেও হাসির বিকল্প নেই।
হাসি কেবল একটি মুখের অভিব্যক্তি নয়; এটি একটি প্রাকৃতিক থেরাপি যা নিজেকে ভালো রাখতে আবশ্যক। একটি সাধারণ হাসি আপনার মানসিক চাপের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে নিমিষেই। এটি হয়তো আপনার সমস্যার সমাধান নাও করতে পারে, তবে সমস্যা মোকাবিলা করার মানসিক শক্তি জোগাতে পারে হাসি। তাই প্রাণ খুলে হাসুন, সুস্থ থাকুন।