উচ্চমাত্রায় বেকারত্ব ও নানাবিধ সামাজিক চাপের, জড়বাদের উত্থান সহ নানান কারণে ক্যাম্বোডিয়ানদের মধ্যে মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছে, অধিকাংশ তরুণ কম্বোডিয়ানরা বিষণ্নতা ও ভীতিজনিত রোগে ভুগছে।
Royal University of Phnom Penh এর মনোবিজ্ঞানী Kao Sovandah বলেছেন, “মানসিক সমস্যাটা এখনো সবার মাঝে অদৃশ্য হয়ে থাকলেও সকলের কর্মস্পৃহা হারানোর গতি দেখেই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এরা কতটা সমস্যাগ্রস্ত।” উদাহরণ হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন,”তাদের হতাশার কারণে কোনো কাজে তারা সহজেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, সবসময় দেখতে ক্ষুধার্তের মত লাগে, অনেকসময় তারা আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
Khmer-Soviet Friendship Hospital এর সিনিয়র মনোবিজ্ঞানী Yim Sobotra এ নিয়ে বলেছেন,” লোকজনের এই মানসিক প্রতিবন্ধকতার মূল কারণ হলো সামাজিক চাপ। যখন তারা বুঝতে পারে যে, তাদের সুযোগ অনেক কম।”
“যখন আমরা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করতে চাই তখন লোকজন মনে করে যে এসব কেবল অনেক বেশি অসুস্থ লোকদের জন্য। কাজেই তারা এর গুরুত্ব দেয় না।” তিনি আরো বলেন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরস্পর সম্পর্কিত। “শারীরিক সমস্যার কারণে তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে। মানসিক সমস্যার কারণে তারা রাতে ঘুমাতে পারে না। যার প্রভাব পড়ে তাদের শরীরের উপর।”
এসব সমস্যা থাকার পরেও Sobitra বলেছেন, এই মানসিক সমস্যার কারণে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার পরিমাণ ২০১৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।
মনোবিজ্ঞানী Ean Nil মতে, মানসিক চাপ হলো সকল মানসিক সমস্যার মূল। কিন্তু এই মানসিক চাপ এখন সবার মাঝেই দেখা দিচ্ছে। সামান্য মেডিটেশন ও দৈহিক ব্যায়াম করলে যা সহজেই দূর করা যায়। ২০১২ সালের অফিসিয়াল তথ্য মতে সে বছর ৪২ জন তরুণ কেবল মানসিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করেছে।
তথ্যসূত্র- ভয়েস অব আমেরিকা ক্যাম্বোডিয়া
http://www.voacambodia.com/a/most-cambodian-youth-live-with-mental-health-issues/3561001.html
আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম