একটি দাতব্য সংস্থা যা ছাত্র ছাত্রীদের তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সাহায্য করছে এবং এই সংস্থা টি তাদের বন্ধুদের এমন এমন সমর্থন পেয়েছে যে এটি ৪০০ টি সংস্থার সাথে প্রতিযোগিতা করে একটি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে।
এই সংস্থা টির ব্যাপারে ছাত্র ছাত্রীদের মন তৈরী হয়েছিল ২০০৯ সালে যখন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের এক সহপাঠী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত জটিলতায় ভুগছিল।
গত সপ্তাহে সংস্থা টি জিএসকে ইম্প্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ এর বিজ্যী ঘোষিত হয়েছে। যার মানে হচ্ছে সংস্থাটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়েছে এবং একটি ভাল দাতব্য সংস্থা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এই পুরষ্কারের সাথে সংস্থাটি ৩০০০০ ইউরো তহবিল পেয়েছে।
প্রধান নির্বাহী রোজি ট্রেস্লার বলেন, “আমরা এই পুরষ্কার পেয়ে রোমাঞ্চ অনুভব করছি, এই পুরষ্কার পাওয়া মানে আমদের কাজের স্বীকৃতি এবং পরিচিতি পাওয়া এছাড়া এটি আমাদের সেচ্ছাসেবকদের চমৎকার অবদানের একটি প্রকাশ। এই পুরষ্কারটি আমাদের সংস্থাটিকে আরো বড় পরিসরে গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে আরো ভালভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে এমন ছাত্র ছাত্রীদের সমর্থন করতে উদ্যমী করে তুলবে”।
সোমারভিল কলেজের মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক ডঃ নিকোলা বাইরম যখন কিশোর ছিলেন তখন ক্ষুধাহীনতায় ভুগেছিলেন তিনি এই সংস্থাটির শুরু করেছিলেন। তার মত যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদের একত্রিত করতে এবং সমর্থন জোগাড় করতে।
এখন ও অক্সফোর্ডের এই সংস্থাটি টার্ল স্ট্রিট কেন্দ্রিক এবং এটি ১০ জন কর্মী সদস্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। গত বছর সংস্থাটি লন্ডন জুড়ে ৯৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কাজ করে গেছে।
স্টুডেন্টস মাইন্ড সংস্থা ছাত্র ছাত্রীদের এই লক্ষ্যে সাজায় যেন তারা তাদের বিশ্ববদ্যালয় এলাকায় ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্য প্রচারণা করতে পারে যেখানে থাকে সমকক্ষ সমর্থন এবং প্রচারাভিযানের আয়োজন।
মিস ট্রেসলার আরো বলেন, “যেখানে শুধুমাত্র এক তৃতীয়াংশ ছাত্র ছাত্রী মানসিক সমস্যায় ভুগে সেখানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হতে পারে স্বাস্থ্য সম্বন্ধিত ক্লাব তৈরী করে। যেখানে তারা মানসিক উত্থান পতন জীবনে কঠিন সময় গুলোতে কিভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে শিখবে। স্টুডেন্টস মাইন্ডস তৈরী হয়েছিল যেসব ছাত্র ছাত্রী রা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তারা যেন তাদের সমস্যার কথা প্রকাশ করে, অন্যকে জানায় এবং তাদের উদ্যোগকে প্রচার করার জন্য এবং তারা যে সমস্যায় ভুগছে তা চিকিৎসা সম্ভব এবং প্রতিকার সম্ভব এমন উৎসাহ প্রদানের জন্য”।
এই সংস্থাটির অন্যান্য প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লুকিং এ মেইট-একজন সহপাঠির দেখাশুনা করা’ এর প্রচারণা করা। এই প্রকল্পটির মানে হচ্ছে এমন বন্ধুদের সাহায্য এবং সমর্থন করা যাদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। এটি একটি সামাজিক মাধ্যম এ প্রচার করা হয় এমন একটি প্রকল্প। যেখানে নিরব রাতগুলোকে উদযাপন করা হয় বাহিরে গিয়ে অতিরিক্ত মদ্যপানের মাধ্যমে নয় বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটিয়ে।
এই সংস্থাটি অন্য ১০ টি প্রতিষ্ঠানের সাথে এই পুরষ্কারটি পায়। তবে যে অর্থ তহবিল প্রদান করা হবে তা প্রতিষ্ঠানটি পাবে ১৮ মে ২০১৭ তে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে।
তথ্যসূত্র- অক্সফোর্ড মেইল
(http://www.oxfordmail.co.uk/news/15141574.Student_mental_health_charity_gets_national_recognition/)
রুবাইয়াত মুরসালিন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম