স্থানীয় সময় গত রোববার (৩ জুলাই) ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ফিল্ডস শপিংমলে এক বন্দুকধারীর অতর্কিত হামালায় তিনজন নিহত হয়, আহত হয় অন্তত চারজন। ওই ঘটনায় ২২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ওই হামলাকারী মানসিক রোগে আক্রান্ত।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে কোপেনহেগেন পুলিশপ্রধান সরেন থমাসেন জানিয়েছেন, ‘আমাদের এই সন্দেহভাজন (হামলাকারী) মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে পরিচিত ছিলেন। এটা ছাড়া আমি আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ খবর সূত্র আল–জাজিরা।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মানসিক রোগীদের একটি রুদ্ধদ্বার ওয়ার্ডে সন্দেহভাজনকে রাখা হয়েছে। তাঁকে ২৪ দিন হেফাজতে রাখতে আদালতের আদেশের পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই সময় আরও বাড়তে পারে।
এর আগে ঘটনার পর পুলিশ কর্মকর্তা থমাসেন বলেছিলেন, ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের নির্বিচার নিশানা করা হয়েছিল বলে মনে হয়। এই ঘটনা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল—এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
থমাসেন বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন হলো, হতাহত ব্যক্তিরা নির্বিচার হামলার শিকার। লিঙ্গ বা অন্য কিছু দিয়ে প্রভাবিত হয়ে এই হামলা চালানো হয়নি।’ হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে থমাসেন বলেন, হামলার আগে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ২২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী অন্য কারো সহযোগিতা ছাড়াই কাজটি করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
হামলায় নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন ড্যানিশ কিশোর–কিশোরী। তাদের বয়স ১৭ বছর। নিহত অন্যজন ডেনমার্কে বসবাসকারী ৪৭ বছর বয়সী এক রুশ নাগরিক।
হামলায় আহত চারজনের মধ্যে দুজন ড্যানিশ নারী। তাঁদের বয়স ১৯ ও ৪০ বছর। বাকি দুজন সুইডিশ নাগরিক। তাঁদের একজন ৫০ বছর বয়সী পুরুষ, আরেকজন ১৬ বছর বয়সী কিশোরী।
কিছু ছবিতে এই সন্দেহভাজন তরুণকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পোজ দিতে দেখা গেছে। আত্মহত্যার অঙ্গভঙ্গি নকল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মানসিক রোগের চিকিৎসার বিষয়ে তাঁকে কথা বলতে শোনা গেছে।
/এসএস/মনেরখবর