সরকার একটি পদক্ষেপ নিয়েছে যেখানে অফিস প্রধানদের বলা হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যকে যথাযথ গুরত্ব প্রদানের জন্য। এই পদক্ষেপ যেসব প্রতিষ্ঠান লাভজনক ব্যবসায় নিয়োজিত নয় সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। ‘ওয়ার্কহেলথ’ কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরত্ব নিয়ে একটি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটির প্রস্তাব একটি গুরত্বপূর্ণ পরামর্শদাতা গ্রুপ থেকে আসে। এই প্রোগ্রামে সরকার, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা জড়িত।
নতুন প্রোগ্রামটি পুরাতন প্রোগ্রাম ‘ওয়ার্কহেলথ’ এর একটি বাড়তি অংশ হিসেবে কাজ করবে (কর্মক্ষেত্রে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব)। নতুন প্রোগ্রামে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম থাকবে। অনলাইন সাইটটি থেকে ব্যবসায়ের জন্য পরামর্শ, গবেষণার জন্য পরামর্শ এবং কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার লক্ষ্যে যে কোনো ধরনের সমর্থন থাকবে।
এই প্রোগ্রামটি অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দিকটি দেখাশুনা করবে। সরকার বলেছেন এই নতুন প্রোগ্রামটি সুন্দর ও দারুণভাবে শুরু করা এবং পুরাতন প্রোগ্রামটিকে আরো বিস্তার করার জন্য এবং কর্মক্ষেত্রে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার লক্ষ্যে ১৭ মিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ড তৈরী করা হয়েছে। যে ফান্ডটির নাম ‘ইনোভেটিভ ফান্ড’।
গত মঙ্গলবারে প্রোগ্রামটির উদ্বোধন করা হয়েছে মেলবোর্ন আর্ট সেন্টারে। যা বর্তমানে সৃজনশীল কাজ যারা করে থাকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। সৃজনশীল শিল্পীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মেলবোর্নে একটি কনসোর্টিয়াম কাজ করছে যার নাম ‘আর্ট ওয়েলবিং কালেকটিভ’। মেলবোর্ণ আর্ট সেন্টারের সাথেই এই কনসোর্টিয়ামটি কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারের একটি জরিপে ‘ওয়ার্কসেইফ ভিক্টোরিয়া’ এর রাখা তথ্যে দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরত্বপুর্ণ ভাবার বিষয়। ২০১৬ সালে ৩১০০ জনের বেশি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কথা কথা বলেছেন। যা সম্পুর্ণ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১২ ভাগ। ওয়ার্কসেইফ স্বাস্থ্য ও জনগণ বিভাগের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন প্রোগ্রাম এবং পুরাতন ওয়ার্ক হেলথ প্রোগ্রামের ৫ বছরের ফান্ড এর ব্যবস্থা করবে।
ওয়ার্কহেলথ গ্রুপ এর চেয়ারম্যান এবং ক্যান্সার কাউন্সিল ভিক্টোরিয়া এর সিইও টড হারপার প্রো বোনো নিউজকে বলেন, “আমরা অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি গ্রাফ তৈরি করেছি। আমরা আশাবাদী যে এই প্রোগ্রাম ভিক্টোরিয়া কর্মী, লাভজনক ব্যবসায়ে জড়িত না এমন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল কর্মক্ষেত্রে কর্মচারীদের মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, “ একটি বিষয় পরিষ্কার যে আমাদের প্রতিষ্ঠান কর্মক্ষেত্রে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে। আশাকরি নতুন প্রতিষ্ঠানটিও তা পারবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কর্মচারীদের সাহায্য করে থাকে। গত ৫ বছরে চোখে পড়ার মত পরিবর্তন হয়েছে। কর্মচারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান খুব সতর্ক। কর্মচারীদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দেখাশুনা করা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কেননা এই কর্মাচারীরা প্রতিষ্ঠানকে চলমান রাখে। তাই তাদের সকল ধরনের স্বাস্থ্যের সুস্থতার দেখাশুনা করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের। আমাদের ওয়ার্কহেলথ প্রোগ্রামটি সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মাচারীদের সহায়তায় পাশে থাকে”।
তথ্যসূত্র-
রুবাইয়াত মুরসালিন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম