সম্প্রতি আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (APA) গর্ভপাতের সাথে মানসিক সমস্যা কতটুকু সম্পর্কিত তা পরীক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
এমনটা করা হচ্ছে কারণ শুধু আমেরিকাতেই নয় পুরো বিশ্ব ব্যাপী গর্ভপাতকারীদের মধ্যে মানসিক সমস্যার প্রবণতা অনেক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টাস্কফোর্সটি ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত গর্ভপাত ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে হওয়া সকল গবেষণা ও এর ফলাফল বিশ্লেষণ করেছে।
যদিও বলা হয়েছে একটি নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় গর্ভপাত মানসিকভাবে একজন নারীকে খুব বেশি সমস্যায় ফেলে না। কিন্তু এটা ঠিক কতটি ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে?
তাদের গবেষণায় দেখা গেছে কিছু কিছু নারীদের ক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়া সম্ভব হলেও অনেকে তা পারেন না। এটা ধরণ, প্রেক্ষাপট ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে। প্রতিকূল পরিবেশে গর্ভপাতের কারণে অনেক নারী বিষণ্নতা, হতাশা এনজাইটিতে ভোগেন। অন্যদিকে কোনো কারণে যদি দ্বিতীয় বা তারপর আবারো গর্ভপাত করতে হয় তাহলে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায়।
প্রাপ্ত প্রমাণ মোতাবেক পুনরায় গর্ভপাত নারীদের আরো বেশি হতাশ ও বিষণ্ন করে তোলে যা কাটিয়ে ওঠা আরো বেশি কঠিন।
অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের কারনেই মূলত গর্ভপাত করা হয়ে থাকে। এমনিতেই অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ একজন নারীকে মানসিকভাবে দূর্বল করে তোলে। এরপর আবার গর্ভপাত এ অবস্থাকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যায়।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে গর্ভপাতের ফলে রয়েছে শারীরিক ঝুঁকিও। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোর নারীদের আবেগগত সমস্যা, মাদক ও মদ গ্রহণের ফলাফল, অনিরাপদ যৌন সম্পর্কসহ নানান কারণে গর্ভপাতকারীর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অকাম্য গর্ভধারণের পর একজন নারীর মাঝে কেবল এই ঝামেলা থেকে মুক্তি লাভের বিষয়টি কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড থেকে প্রাপ্ত প্রমাণগুলোতে দেখা যায় যে সকল নারীরা এক সপ্তাহ বা এক মাস আগে গর্ভপাত করিয়েছেন তাদের অনেকেই মানসিক সমস্যাজনিত কারণে আবারো চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
টাস্কফোর্সটির মতে এ বিষয়ে আরো অধিক ও নিখুঁত গবেষণা প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র- আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন
http://www.apa.org/about/gr/issues/women/mental-health-and-abortion.aspx
আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম