সাম্প্রতিককালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্রিটেনে স্কুলগামী ছাত্রীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মানসিক অসুস্থতার শিকার। এক্ষেত্রে স্কুলগামী ছাত্রদের অবস্থা তুলনামুলক ভালো। ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই অসুস্থতার হার প্রতি ৫ জনে ১ জন। The YouGov নামের এই পরিসংখ্যানটি চালানো হয় স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের উপর। এদের মধ্যে ২৭ভাগ শিক্ষার্থী তাদের মানসিক সমস্যা সম্পর্কে জানে ও একথা স্বীকার করে। সমকামী, বহুগামী ও হিজড়া শিক্ষার্থীদের ৪৫ ভাগ জানে যে, তারা মানসিকভাবে সুস্থ নয়। তবুও তারা নিজের চিকিৎসা করাতে নারাজ। নানারকম পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের কারণে তারা এর চিকিৎসা তো দূরের কথা এই অবস্থার কথা স্বীকার করতেও নারাজ। UK বিশ্ববিদ্যালয় এ সম্পর্কে বলে যে, তারা এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করছে। এদের মধ্যে যারা নিজের এই অসুস্থতা সম্পর্কে জানে তাদের মধ্যে ৭৭ ভাগ হতাশায় ভোগে এবং ৭৪ ভাগ অতিরিক্ত রাগ ও উত্তেজনাজনিত সমস্যায় ভোগে।
গত মে মাসে ONS থেকে পরিচালিত হওয়া একটি রিপোর্টে দেখা গেছে শিক্ষর্থীদের মধ্যে ২০০৭ সালের তুলনায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে দেখা যায় ইংল্যান্ডে এরকম ১৩০ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার কম। এদের মধ্যে ৯৭ জন ছাত্র ও ৩৩ জন ছাত্রী।এই তথ্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উদাসীনতার চিত্র তুলে ধরে।বর্তমানে অবস্থা বদলানো শুরু করেছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও নানারকম সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই ক্ষেত্রে কাজ করা শুরু করেছে। এদের মধ্যে Samaritans, Mind, Sane, Calm হলো কিছু সংগঠন যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে ১৮% শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করছে এবং এদের মধ্যে ১০ জনের ৯ জনকেই কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।যারা বাকী ছিল তাদের মধ্যে ৩০ ভাগ ছাত্র ও ২৭ ভাগ ছাত্রী তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের বন্ধু ও পরিবারের সাথে আলোচনা করতে নারাজ। UK বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ Nicala Dandridge বলেন, “কতৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টিকে গুরত্বের সাথে দেখছে।” তিনি আরো বলেন, “কিছু শিক্ষার্থীদের কাছে দীর্ঘস্থায়ী উচ্চশিক্ষা বিরক্তিকর ও হতাশাব্যাঞ্জক। কিছু শিক্ষার্থী তাদের সমস্যা আমাদের কাছে গোপন করে রাখে, ফলে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে রাজনৈতিক উন্নতি ও কিছু ক্যাম্পেইনের ফলে সবাই আশার আলো দেখছে।
তথ্যসূত্র- বিবিসি
http://www.bbc.com/news/education-37037532
আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম