গত ১ ও ২ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে কাঠমান্ডুর ইয়াক এবং ইয়েতি হোটেলে শিশু ও কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ICCAMH) অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘শিশু ও কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যে সহযোগিতামূলক সেবার জন্য অংশীদারিত্ব জোরদার করা’।
এই সম্মেলনটির আয়োজন করে CAMHSAN (শিশু ও কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য দক্ষিণ এশিয়ান আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক) এবং ইউনিসেফ। এতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল এবং নরওয়ে, চীন এবং আফ্রিকা থেকে প্রায় ৩৫০ জন অংশগ্রহণকারী যোগদান করেন।
সম্মেলনে নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ এবং ভুটান থেকে শিশু ও কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য (সিএএমএইচ) সম্পর্কিত দক্ষিণ এশীয় পরিষেবা ম্যাপিং প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের সার্ভিস ম্যাপিং রিপোর্টটি বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়।
বৈজ্ঞানিক কমিটি সেরা মৌখিক উপস্থাপনা এবং সেরা পোস্টার উপস্থাপনার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। সেরা তিনটি মৌখিক উপস্থাপনার মধ্য দুটি-ই হলো বাংলাদেশের দুইজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের উপস্থাপনা। তারা তাদের সেরা মৌখিক উপস্থাপনার মাধ্যমে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনেন।
বিএসএমএমইউ-এর শিশু মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ডা. সিফাত-ই সাঈদ তার গবেষণাপত্র ‘Psychiatric disorders among children and adolescents with headache: a hospital based study in Bangladesh’-এর জন্য এবং শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমাইয়া বিনতে জলিল তার গবেষণাপত্র ‘Assessment of quality of life among adolescents with internet use from four colleges at higher secondary level in dhaka city’ এর জন্য অসামান্য মৌখিক উপস্থাপনার পুরস্কার লাভ করেন। তারা নেপালের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব প্রদীপ পাউডেলের কাছ থেকে সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা Oral Paper Certificate গ্রহণ করেন।
এছাড়াও, বিএসএমএমইউর চাইল্ড সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ এডিএইচডি বিষয়ে তাঁর মৌখিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন এবং প্রশংসা অর্জন করেন। অধ্যাপক নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদ ও ডা. সিফাত ই সাইদ দুটি বৈজ্ঞানিক সেশনে সম্মানিত চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের রেসিডেন্ট, ডা. মোস্তফা কামাল সৈকত তার গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ থেকে সাইকোলজিস্ট নুসরাত সাবরিন ও এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
পরিশেষে CAMHSAN-এর সদস্যদের মিটিংয়ে ভবিষ্যতে শিশু মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য আগামী দুই বছর এর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির ইতি ঘটে। এই কনফারেন্সটি শিশু ও কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়ান এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও দেখুনঃ