ক্যান্সার শব্দটি আমাদের স্নায়ুকে যেন কামড় দিয়ে ধরে যখন সেটা আমাদের পরিচিত কারো বা আমাদের নিজেরদেরই বেলায় ঘটে। এটা ব্যক্তি, পরিবার, পারিপার্শ্বিক সমাজ সব পর্যায়ের সাম্যবস্থা নষ্ট করে দেয়। আমরা ক্যান্সার নির্ণয়ের পর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ -এর হিসাব মিলাতে বিপদে পড়ে যাই। এটা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং আত্মিক সব ভারসাম্য বিলীন করে দেয়। ক্যান্সার রোগীদের কষ্টের একটা বড় অংশই থেকে যায় আমাদের অগোচরে। অন্যান্য সব হিসাবের সাথে মনের হিসাবটা কি আমরা আসলেই আমলে আনি?
মনটা কখন সবচাইতে বেশি ভেঙে পড়ে:
√ ক্যান্সার যখন প্রথম ধরা পড়ে
√ যখন রোগের লক্ষণ পুনরায় দেখা দেয়
√ যখন মৃত্যু প্রক্রিয়া শুরু হয়
সবচেয়ে বেশি দেখা যায় Anxiety Disorders, Depressive Disorders, Adjustment Disorders; এছাড়াও অন্যান্য কিছু রোগও দেখা যায়। এমনকি উন্নত দেশে আত্মহত্যার হার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অনেক বেশি।
Anxiety Disorders:
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় উদ্বিগ্নতা বা Anxiety। সাধারণ উদ্বিগ্নতা, ভয় বা Phobic Disorder, Panic attacks or disorder, উদ্বিগ্নতা ও বিষণ্নতার মিশ্রন পাওয়া যায় বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
Depressive disorders:
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গড়ে শতকরা ২৫ ভাগ রোগীই বিষণ্নতায় ভুগে বলে গবেষণায় পাওয়া যায়। অনেক গবেষণা একসঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ৩-৬৯ ভাগ ক্যান্সার রোগী বিষণ্নতায় ভুগেন।
Adjustment disorders:
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গড়ে শতকরা ২৫ ভাগ রোগীই Adjustment disorder এ ভুগেন। কারণ হিসাবে আলোচনা করা হয়েছে যে ক্যান্সার একজন মানুষের নিজের, তার পরিবারের, পারিপার্শ্বিক অবস্থার স্বাভাবিক ভারসাম্যতা নষ্ট করে দেয়।
Suicide:
উন্নত দেশে আত্মহত্যার হার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অনেক বেশি। আমাদের দেশে যদিও এটা বেশ কমই।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।