বিষণ্ণতা বা দুশ্চিন্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ শুরুতেই এর প্রতি যথাযথ দৃষ্টি না দিলে এ থেকে গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। মনোচিকিৎসক ডা. মুনতাসীর মারুফ বলছেন বিষণ্ণতায় আক্রান্তদের মধ্যে পনের শতাংশের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হয়ে থাকে। তবে বিষণ্ণতা বলতে অনেকে মন খারাপকে বুঝে থাকেন।
ডা. মুনতাসীর বলছেন, বিষণ্ণতা মানুষের মনের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। একজন মানুষের কোনো বিষয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া বা এ ধরণের নানা কারণে মন বিষণ্ণ হতেই পারে। তবে যখনি রোগ হবে সেটা একটু ভিন্ন। বিষণ্ণতা হতে পারে বিভিন্ন মাত্রা কিংবা গভীরতায়।
মনে রাখতে হবে টানা দুই সপ্তাহ মন খারাপ থাকা বা আগে যেসব কাজে আনন্দ লাগতো সেসব স্বাভাবিক কাজগুলোতে আনন্দ না পাওয়ার মতো হলে এটিকে বিষণ্ণতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
বিষণ্ণতার লক্ষ্মণ :
- দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকে।
- যেসব কাজে আনন্দ পেতো সেসব কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যায়
- ঘুম অস্বাভাবিক কম বা বাড়তেও পারে।
- খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া।
- ওজন কমে যাওয়া।
- কাজে ও চিন্তায় ধীরগতি হয়ে যাওয়া।
- সবকিছুতে নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা নিজেকে দায়ী মনে হওয়া।
- সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা পরিকল্পনা ও চেষ্টা করে।
মানুষ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত কেনো হয় :
- জেনেটিক কারণে অনেকে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারেন।
- বায়োলজিক্যাল অসুখ বিসুখকের কারণে।
- নেতিবাচক মানসিকতার কারণে।
- আশপাশের পরিবেশ যা সে মনে করে যে তার সঙ্গে খাপ যাচ্ছেনা।
- বিচ্ছেদ কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে সেখান থেকেও বিষণ্ণতা হওয়ার আশংকা থাকে।
- জৈবিক বা অন্তর্গত নানা কারণে একজন মানুষ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারে।
বিষণ্ণতা কাটানোর উপায় :
- মৃদু বিষণ্ণতা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।
- সবার সঙ্গে মেশা। অর্থাৎ যাদের সঙ্গ ভালো লাগে তাদের কাছে থাকা।
- শারীরিক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করা।
- শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা।
- মানসিকভাবে দৃঢ় থাক ও আত্মবিশ্বাস রাখা ।
- ইতিবাচক বিষয়গুলোকে ফোকাস করে ভালো কাজগুলোর চর্চা করা।
সূত্র : ইন্টানেট।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে